জয়পুরহাটে ৪ বছরের মেয়েকে ‘হত্যা করে’ মা থানায়

কনীনিকা পাল
ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটে সাড়ে চার বছরের মেয়েকে হত্যার পর মৌমিতা পাল (৩০) নামের এক গৃহবধূ থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মৌমিতা জয়পুরহাট থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন। এর আগে মৌমিতা মুঠোফোনের চার্জারের তার দিয়ে শ্বাস রোধ করে নিজের মেয়েকে হত্যা করেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

নিহত ওই শিশুর নাম কনীনিকা পাল। মৌমিতা পাল সোনালী ব্যাংক জয়পুরহাটের পাঁচবিবি শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নয়ন চন্দ্র পালের স্ত্রী। নয়ন চন্দ্রের বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার আমড়া গোহাইল গ্রামে। তবে চাকরির সুবাদে তিনি স্ত্রী মৌমিতা ও মেয়ে কনীনিকাকে নিয়ে জয়পুরহাট শহরের বারিধারা মহল্লার একটি বাসায় থাকতেন।

হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন মৌমিতা–নয়ন দম্পতির বাড়ির সামনে ভিড় করছেন

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মৌমিতা পাল থানায় এসে বলেন, তিনি তাঁর মেয়ে কনীনিকার গলায় মুঠোফোনের চার্জারের তার পেঁচিয়ে তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছেন। পরে মৌমিতার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের সত্যতা পায়। পরে পুলিশ নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়। মৌমিতা পাল বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে আছেন।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির বাবা কর্মস্থল পাঁচবিবি সোনালী ব্যাংকে ছিলেন। তাঁকে মুঠোফোনে ঘটনাটি জানানো হয়। এরপর তিনি থানায় আসেন। মৌমিতা পাল মানসিক বিকারগ্রস্ত বলা হচ্ছে। এ ছাড়া পারিবারিক কলহ ছিল। নিজের মেয়েকে কী কারণে মা হত্যা করলেন, সেটা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

নিহত কনীনিকার বাবা নয়ন চন্দ্র প্রথম আলোকে বলেন, রাত থেকে তাঁর স্ত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। আজ সকালে তিনি কর্মস্থলে যাওয়ার পর মৌমিতার মুঠোফোনে কল করেন। তবে তিনি মৌমিতাকে পাননি। তাঁর মেয়ে কনীনিকা পাল কল ধরে। তখন তিনি মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন। এর কিছু সময় পর থানা থেকে কল করে তাঁকে মেয়ের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।