বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক-১ মাসুম বিল্লাহ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক-১ মাসুম বিল্লাহ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পর একজনের পদত্যাগ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশের এক দিন পরই যুগ্ম আহ্বায়ক-১ মাসুম বিল্লাহ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘কমিটির আহ্বায়কসহ অনেকের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ রয়েছে। আমার নৈতিক ও মানবিক গুণাবলি অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার সদ্য ঘোষিত কমিটি থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি। এ ছাড়া যাঁদের কমিটির মূল পদে বসানো হয়েছে, তাঁদের অনেকেই আন্দোলনের সময়ে সামনের সারিতে ছিলেন না। অথচ অযোগ্য ব্যক্তিদের দায়িত্বশীল পদে বসানো হয়েছে।’

মাসুম বিল্লাহ আরও বলেন, ‘আমি শুরু থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আন্দোলন করে আসছি। জেলায় আমাদের শক্তিশালী একটি পক্ষ রয়েছে। কমিটিতে আমাদের পক্ষের কর্মীদের কাঙ্ক্ষিত পদ দেওয়া হয়নি।’

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে যশোর জেলা কমিটি প্রকাশ করা হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল আগামী ছয় মাসের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলার কমিটিতে রাশেদ খানকে আহ্বায়ক, জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তিকে সদস্যসচিব, আবদুল্লাহ আল মামুন লিখনকে মুখ্য সংগঠক ও ফাহিম আল-ফাত্তাহকে মুখপাত্র করা হয়েছে। তাঁরা যশোর সদরের বাসিন্দা। এ কমিটিতে ১১ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ১২ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ৮ জনকে সংগঠক ও ৭৯ জনকে সদস্য করা হয়েছে।

জেলা কমিটি প্রকাশের ২৪ ঘণ্টা পরই যুগ্ম আহ্বায়ক-১ মাসুম বিল্লাহ আজ বিকেলে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের আন্দোলনের পর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিয়ে যশোরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মী-সমর্থকেরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যান। এর এক পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন রাশেদ খান ও অপর ভাগের নেতৃত্বে ছিলেন মাসুম বিল্লাহ। সদস্যসচিবের পদ পাওয়া জেসিনা মুর্শিদ প্রথমে মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে থাকলেও পরে রাশেদ খানের পক্ষে যুক্ত হন। কমিটিতে মাসুম বিল্লাহর পক্ষের অনেকে পদবঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। আবার যাঁরা পদ পেয়েছেন, তাঁরা কাঙ্ক্ষিত পদ পাননি। এসব কারণে কমিটির আরও অনেকের পদত্যাগের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য জেলা কমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।