মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় প্রায় এক যুগ আগে মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মমতাজ বেগম, ৩৭ পুলিশ সদস্যসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মৃত ইউসুব আলীর ছেলে মো. সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই মামলা করেন।
মামলায় অন্যান্য আসামির মধ্যে রয়েছেন সিঙ্গাইর পৌরসভার সাবেক মেয়র মীর মো. শাহজাহান, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মাজেদ খান, সহসভাপতি রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র আবু নঈম মো. বাশার, সাবেক পৌর কমিশনার আবদুস সালাম খান ও সমেজ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমেজ উদ্দিন প্রমুখ।
পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কামরুল ইসলাম, জেলা ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক মো. মহিবুল আলম, মদন মোহন বণিক ও মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সিঙ্গাইর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আদিল মাহমুদ, মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে গোবিন্দল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ কিছু পুলিশ সদস্য টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় কিছু মুসল্লি একটি মিছিল নিয়ে সিঙ্গাইর উপজেলা সদরের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে মিছিলকারীরা এদিক-সেদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশের ছত্রছায়ায় পুলিশের পোশাক পরিধান করে বিনা উসকানিতে নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালালে ঘটনাস্থলে গোবিন্দল গ্রামের মওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, নাজিম উদ্দিন মোল্লা ও শাহ আলম নিহত হন।
বাদীর আইনজীবী দ্বীন ইসলাম বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।