সুইজারল্যান্ডে পাঠানোর জন্য ‘ব্যানানা’ জাতের আম প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। রোববার দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সদরডাঙ্গা এলাকায়
সুইজারল্যান্ডে পাঠানোর জন্য ‘ব্যানানা’ জাতের আম প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। রোববার দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সদরডাঙ্গা এলাকায়

এবার সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছে দিনাজপুরের ‘ব্যানানা’ আম

দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় উৎপাদিত ‘ব্যানানা’ জাতের আম রপ্তানির জন্য এবার সুইজারল্যান্ডে পাঠানো হচ্ছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম আম রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ইতিমধ্যে রপ্তানির জন্য ২০০ কেজি আম প্যাকেটজাত করা হয়েছে।

কুরিয়ারে ঢাকার সানড্রপ এপেটিক নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে আমগুলো পাঠানো হবে। সেখান থেকে অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে দু-এক দিনের মধ্যে আমগুলো সুইজারল্যান্ডে পাঠানো হবে। এর আগে গত বছরের একই সময়ে প্রথমবারের মতো বিরলে উৎপাদিত বারি-৪ জাতের আম যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছিল।

বিরলের সদরডাঙ্গা গ্রামে ‘ব্যানানা’ জাতের আমের বাগান করেছেন কৃষক জুয়েল রানা ও মোমিনুল ইসলাম। আট বিঘা জমিতে দেড় হাজার গাছ নিয়ে তাঁদের আমবাগান। বাগানে কার্টিমন, বারি-৪ ও ব্যানানা জাতের আমগাছ। বাগানের অর্ধেক গাছই ‘ব্যানানা’ জাতের। জানালেন, গতবারের চেয়ে এবার প্রতিটি গাছে ভালো ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, গত বছর তাঁরা যুক্তরাজ্যে আম পাঠিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। সেই লক্ষ্যেই এবার কয়েকজন চাষির সঙ্গে রাসায়নিক ও কীটনাশকমুক্ত আম উৎপাদন নিয়ে তাঁরা কাজ করেছেন। জুন মাসের শেষ দিকে কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। ভিডিও পাঠানো হয়েছে। পরে ১০ কেজি আমের ‘স্যাম্পল’ পাঠানো হয়েছে। পছন্দ হওয়ার পর এবার সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে থাকা কয়েকজনের কাছ থেকে তিন টন আমের অর্ডার পাওয়া গেছে। প্রতি কেজি ১২৫ টাকা দরে আজ ২০০ কেজি পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

বাগানের মালিক মোমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আট বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ‘ব্যানানা’, বারি-৪ ও কার্টিমন জাতের আমবাগান করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে বিষমুক্ত আমের আবাদ করেন। গত বছরও তাঁদের বাগান থেকে বারি-৪ জাতের আম যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। এবার ‘ব্যানানা’ জাতের আম সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছে। এটি অনেক আনন্দের ব্যাপার। নিজের দেশের পাশাপাশি দেশের বাইরে প্রবাসীদের কাছে বিক্রি করতে পারছেন। এবার ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারও ভালো। ‘ব্যানানা’ জাতের আম প্রতি মণ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।