জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘এ দেশ কারও একার নয়, দেশ সবার। এ দেশের মানুষ গত ১৫ বছরে অনেক জুলুম–নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই, আর বিভক্ত দেখতে চাই না। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’ ঝালকাঠি শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি এলাকায় আজ সোমবার সকালে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
পূর্ব চাঁদকাঠি এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আজ সকালে জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ইউনিয়ন দায়িত্বশীল সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের আমির শফিকুর রহমান।
সমাবেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়ে ও কারাগারে রেখে তিলে তিলে হত্যা করেছে। কিন্তু তাদের সেই অত্যাচার-নির্যাতনের জবাব জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শান্তিকামী ছাত্র-জনতা দিয়েছে। আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরেরা এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করতে উসকানি দিচ্ছে। তবে সেই ফাঁদে কোনোভাবেই পা দেওয়া যাবে না। যতই ষড়যন্ত্র হোক, তা ব্যর্থ করতে হবে।’
জামায়াতে ইসলামীর আমির আরও বলেন, ‘আমাদের সন্তানেরা রাস্তায় নেমে বলেছিল, “উই ওয়ান্ট জাস্টিজ”, “বৈষম্য চাই না, সুবিচার চাই”, “বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই”, “দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই”। আমরাও এমন একটা বাংলাদেশ চাচ্ছি। সম্মানের বাংলাদেশ গড়তে চাই। সামাজিক নিরাপত্তা গড়তে চাই। সবাই মিলে প্রিয় বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে নিতে চাই।’
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশে খুন, ক্রসফায়ার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে ভরে গিয়েছিল। বহু মায়ের বুক খালি করা হয়েছে। বাবার সামনে থেকে তাঁর সন্তানকে ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়েছে। বিচারের নামে বিচারক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করা হয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত যাদের অন্যায়ভাবে খুন করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের সবাইকে শহীদের স্বীকৃতি দিন এবং তাদের ওপর সন্তুষ্ট হোন।’
ইউনিয়ন দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির হাফিজুর রহমান। এ সময় আরও বক্তব্য দেন সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী।। সমাবেশে বরিশাল বিভাগের জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।