রাঙামাটির সদর উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সকাল পৌনে নয়টার দিকে উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের নাড়াইছড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউপিডিএফের কর্মীর নাম রুপান্ত চাকমা (৪৭)। তিনি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের শিমুলতলী গ্রামের লক্ষ্মী চন্দ্র চাকমার ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কাজে রাঙামাটির সাপছড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে তিনি থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে সাপছড়ি ইউনিয়নের নাড়াইছড়ি গ্রাম থেকে সাংগঠনিক কাজে সক্রাছড়া যাচ্ছিলেন রুপান্ত চাকমা। সকাল পৌনে ৯টার দিকে নাড়াইছড়ি গ্রাম থেকে কিছুদূর গেলে ওত পেতে থাকা ১০ থেকে ১২ জনের একটি সশস্ত্র দুর্বৃত্ত দল তাঁর গতিরোধ করে। পরে খুব কাছ থেকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর চলে যায় দলটি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে লাশ উদ্ধারের জন্য যাচ্ছে।
ইউপিডিএফের রাঙামাটির সংগঠক সজল চাকমা অভিযোগ করেন, রুপান্ত চাকমা তাঁদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আজ সকালে সাংগঠনিক কাজে যাওয়ার সময় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সশস্ত্র কর্মীরা তাঁকে হত্যা করেছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে জনসংহতি সমিতির একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নাড়াইছড়ি এলাকায় গুলিতে এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি। লাশ উদ্ধার করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। লাশ উদ্ধারের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’