বগুড়ার কাহালুতে উত্তরবঙ্গ মেইল ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় আন্তনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস বগুড়া রেলস্টেশনে আটকা পড়ে। বুধবার বিকেলে
বগুড়ার কাহালুতে উত্তরবঙ্গ মেইল ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় আন্তনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস বগুড়া রেলস্টেশনে আটকা পড়ে। বুধবার বিকেলে

বগুড়ায় বগি লাইনচ্যুত, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ

বগুড়ার সান্তাহার ছেড়ে আসা লালমনিরহাটগামী উত্তরবঙ্গ মেইল ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। আজ বেলা পৌনে তিনটার দিকে বগুড়ার কাহালু রেলস্টেশনের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর আড়াই ঘণ্টা ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সব ধরনের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। পরে রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধার করলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পর ঢাকা-সান্তাহার-লালমনিরহাট পথে চলাচলকারী আন্তনগর ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেন ও সান্তাহার-পঞ্চগড় পথে চলাচলকারী আন্তনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেন বগুড়া রেলস্টেশনে আটকা পড়ে। দীর্ঘ প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে থাকার পর ট্রেন দুটি আবার গন্তব্যে ছেড়ে যায়। গরমের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন শত শত যাত্রী।

বগুড়া রেলস্টেশনের মাস্টার সাজেদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নির্ধারিত সময়ে সান্তাহার থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে উত্তরবঙ্গ মেইল ট্রেন। ট্রেনটি বগুড়া রেলস্টেশনে পৌঁছার পর সান্তাহারগামী আন্তনগর দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ও ঢাকাগামী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন দুটির ক্রসিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেলা পৌনে তিনটার দিকে কাহালু স্টেশনের অদূরে মেইল ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। রেলওয়ের সিগন্যাল বার্তা পেয়ে লালমনি এক্সপ্রেস ও দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি বগুড়া স্টেশনে আটকে দেওয়া হয়।

সাজেদুর রহমান আরও বলেন, ওই ঘটনার পর ঢাকা-সান্তাহার-লালমনিরহাট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। লাইনচ্যুত বগিটি লাইনে তুলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করে রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ। বিকেল পাঁচটার কিছুক্ষণ পর বগি উদ্ধারের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিকেল পৌনে চারটার দিকে বগুড়া রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছে আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ও দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেন। যাত্রীদের কেউ কেউ বিরক্ত হয়ে ট্রেন থেকে বাইরে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছেন। কয়েক ঘণ্টা দেরিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন তাঁরা।

আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেসে রংপুর থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন মিজানুর রহমান। বেলা ৩টা ৫ মিনিটে বগুড়া রেলস্টেশনে তাঁদের ট্রেন থামে। মিজানুর রহমান বলেন, ৫ মিনিট যাত্রাবিরতির পর ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ট্রেন ছাড়ছে না। কখন ছাড়বে সেটাও কেউ বলতে পারছেন না।

দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসে গাইবান্ধা থেকে সান্তাহারে যাচ্ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন। বলেন, বিকেল চারটায় সান্তাহার নেমে রাজশাহীগামী ট্রেন ধরার কথা ছিল। কিন্তু তিনটা থেকে বগুড়া রেলস্টেশনে আটকে আছেন। কখন লাইন চালু হবে কিছুই বুঝতে পারছেন না। রেলস্টেশন সূত্র জানায়, বিকেল পাঁচটার কিছুক্ষণ পর বগুড়া রেলস্টেশনে আটকে পড়া ট্রেন দুটি গন্তব্যে ছেড়ে যায়।