মামলা
মামলা

খুলনা সদর থানার সাবেক ওসির বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা

খুলনা সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী ফকরুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

খুলনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন ফকরুল আলম। আদালতের বিচারক মো. আনিচুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আবেদনকারী ফকরুল আলম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলমের ভাইও। মামলার আসামি হাসান আল মামুন বর্তমানে পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জে কর্মরত।

মামলার বাদীর আইনজীবী তৌহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন, নির্যাতন করে হত্যাচেষ্টাসহ ছয়টি ধারায় মামলাটি হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপুলিশ কমিশনারকে (ডিসি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৪ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।

মামলার আরজি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি সকালে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ কর্মসূচি উপলক্ষে খুলনায় আলোচনা সভা ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতা ফকরুল আলমসহ অন্য নেতা-কর্মীরা নগরের কে ডি ঘোষ রোডের এম এম লাইব্রেরির সামনে সারিবদ্ধভাবে একটি ব্যানার নিয়ে দাঁড়ান। সে সময় হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেন। মানববন্ধন কেন করা যাবে না, এ বিষয়ে ফকরুল আলম জানতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা তাঁদের গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তাঁদের লাঠিপেটা করেন। হাসান আল মামুন লাঠি দিয়ে ফকরুল আলমের মুখ বরাবর আঘাত করেন। এতে ফকরুলের বাঁ চোখের মণি ফেটে রক্ত বের হয়। পরে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েও তাঁর সেই চোখের আলো আর ফেরেনি। এ ঘটনায় তখন থানায় মামলার চেষ্টা করেও মামলা করতে পারেননি ফকরুল।