মাদারীপুরের শিবচরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন। আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের আর্য্যদত্তপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম হিরু মাতুব্বর (৩৫)। তিনি একই এলাকার এসকেন্দার মাতুব্বরের ছেলে। হিরু রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দত্তপাড়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মালেক মোল্লার সঙ্গে টুকু ফরাজির বিরোধ চলে আসছিল। রোববার রাতেও এই দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরই জেরে উভয় পক্ষের লোকজন আজ দুপুর ১২টার দিকে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে আবার সংঘর্ষে জড়ান। এতে অহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন। এ সময় মালেক মোল্লার অনুসারী হিরু আর্য্যদত্তপাড়া এলাকায় গেলে তাঁকে একা পেয়ে কুপিয়ে জখম করেন টুকু ফরাজির লোকজন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হিরুকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শিবচর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জিল রহমান প্রথম আলোকে বলেন, টুকু ফরাজি আওয়ামী লীগ করতেন। এখন বিএনপির নেতা বনে গেছেন। তিনি এলাকায় নিজের আধিপত্য দেখাতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। তাঁর কারণেই ওই এলাকায় ফরাজি ও মোল্লা বংশের লোকজন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তি মালেক মোল্লার অনুসারী।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে টুকু ফরাজির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকতার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দত্তপাড়ায় বিএনপির দুই গ্রুপ আধিপত্য বিস্তার করতে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’