মাদারীপুরের শিবচরে ট্রেনের ধাক্কায় এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ওই কিশোরীর সঙ্গে থাকা তার ১১ মাস বয়সী ভাগনির দুই হাত ও পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা-ভাঙ্গা রেললাইনের শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই কিশোরীর নাম মিথিলা আক্তার (১৭)। সে শিবচরের দত্তপাড়া ইউনিয়নের আবু খলিফা ওরফে মিজান সরদারের মেয়ে। গুরুতর আহত শিশুটির নাম আয়শা। সে ওই একই উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের নাসিরের মোড় এলাকার সুজন মিয়ার মেয়ে।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আয়শাকে নিয়ে বিকেলে বাড়ির কাছে ঘুরতে বের হয় মিথিলা। এ সময় ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা মধুমতী এক্সপ্রেসের একটি যাত্রীবাহী ট্রেন দেখে মিথিলা মুঠোফোন দিয়ে ছবি তুলছিল। অসাবধানতাবশত মিথিলা ট্রেনটির কাছে চলে আসে। তখন তাকে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী ট্রেনটি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মিথিলা। গুরুতর আহত হয় তার সঙ্গে থাকা আয়শা।
হাত-পা বিচ্ছিন্ন হওয়া আয়শাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে (পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে) নিয়ে যায়। পরে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার রায় বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুটির হাত-পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত শিশুটিকে ঢাকায় স্থানান্তর করেছেন। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকতার হোসেন বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয়েছে ওই কিশোরীর ভাগনি। রেললাইনের দুর্ঘটনা রোধের জন্য সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।