আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সিলেট জেলা পরিষদের ১০ নম্বর (গোয়াইনঘাট) ওয়ার্ডের সদস্য সুবাস দাসের বিরুদ্ধে ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণের অভিযোগ উঠেছে
আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সিলেট জেলা পরিষদের ১০ নম্বর (গোয়াইনঘাট) ওয়ার্ডের সদস্য সুবাস দাসের বিরুদ্ধে ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণের অভিযোগ উঠেছে

নৌকা প্রতীকের পক্ষে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ

সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ-গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের নৌকা প্রতীকের পক্ষে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সিলেট জেলা পরিষদের ১০ নম্বর (গোয়াইনঘাট) ওয়ার্ডের সদস্য সুবাস দাসের বিরুদ্ধে এই টাকা বিতরণের অভিযোগ উঠেছে।

টাকা বিতরণ করে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগটি প্রথম আলোর কাছে করেছেন সিলেট-৪ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন (সোনালী আঁশ)। তিনি প্রথম আলোর কাছে টাকা বিতরণ করার একটি ভিডিও সরবরাহ করেন। এতে দেখা যায়, একটি স্থানে শতাধিক মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের হাতে সুবাসের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রথম আলোর পক্ষে ভিডিওটি যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার ডোবাবাড়ি ইউনিয়নে আজ শনিবার নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য টাকা বিতরণ করা হয়। নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট কিনতে এ টাকা দেওয়া হয়। তবে জনপ্রতি কত টাকা দেওয়া হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুবাস দাস। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ভোট করেছিলেন। তখন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন অনেকে তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন। তখন খাবার প্যাকেটের পরিবর্তে সমর্থকদের কাউকে ১০০, কাউকে ৫০ টাকা চা-শিঙাড়া-সমুচা খাওয়ার জন্য দেন। এখন পুরোনো ভিডিও সামনে এনে একটা মহল অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার জন্য ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরাও সেখানে গিয়েছেন।

সিলেট-৪ আসনে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ছাড়াও ইসলামী ঐক্যজোটের নাজিম উদ্দিন (মিনার) লড়ছেন। আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৫ হাজার ১২৩। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৬ হাজার ১১০ এবং নারী ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ১২। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন একজন।