রাজশাহীর বিভাগীয় স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের বাল্বগুলো খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিলেট স্টেডিয়ামের জন্য। শুক্রবার রাজশাহীর তেরোখাদিয়া এলাকায়
রাজশাহীর বিভাগীয় স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের বাল্বগুলো খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিলেট স্টেডিয়ামের জন্য। শুক্রবার রাজশাহীর তেরোখাদিয়া এলাকায়

রাজশাহীর স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের বাল্ব নেওয়া হলো সিলেটে

রাজশাহীর বিভাগীয় স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের ১৬০টি বাল্ব খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। গত শুক্রবার বাল্বগুলো খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। স্টেডিয়াম থেকে বাল্ব নিয়ে যাওয়ার খবর জানাজানি হলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে রাজশাহীর ক্রীড়াঙ্গনে।

কয়েক বছর আগেও রাজশাহীর জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের বাল্ব খুলে লাগানো হয়েছিল খুলনা স্টেডিয়ামে। এর আগে এ স্টেডিয়ামের কিছু বাল্ব খুলে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে লাগানো হয়েছিল। ওই বাল্বগুলো ফিরিয়ে আনার কথা থাকলেও তা আসেনি।

স্টেডিয়ামের কর্মীরা বলছেন, সিলেটের মাঠে বিপিএলের খেলা হবে ২৬ জানুয়ারি থেকে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট ভালো নয়। তাই রাজশাহী থেকে বাল্ব নেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী নগরের তেরোখাদিয়ায় অবস্থিত শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৪ সালে। স্টেডিয়ামটিকে আইসিসির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি থাকলেও দীর্ঘদিনে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) আন্তর্জাতিক ভেন্যু হিসেবে এ স্টেডিয়ামের স্বীকৃতি আছে।

স্টেডিয়ামের কর্মীরা বলেন, গত বছরের মে মাসে এই মাঠে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২০০৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের তিনটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ এবং ২০১০ সালের দক্ষিণ এশীয় গেমসের চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। স্টেডিয়ামটিতে দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ১৫ হাজার। রাজশাহীর খেলোয়াড় ও ক্রীড়াপ্রেমীরা দীর্ঘদিন ধরেই মাঠটিকে আইসিসির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে আসছেন।

এর মধ্যেই শুক্রবার মাঠ থেকে ফ্লাডলাইটের ১৬০টি বাল্বসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান বিসিবির কর্মকর্তারা। পরে সেগুলো মাঠ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক এস এম সাইফুল ইসলাম বলেন, সিলেটে বিপিএল খেলার জন্য বিসিবি বাল্বগুলো নিয়ে গেছে। খেলা শেষে আবার দিয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধ স্টেডিয়ামের বাল্বগুলো ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তখন দায়িত্বে কে ছিলেন, তা–ও তিনি জানেন না।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সুকুমার সাহা গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, আগের বিষয়টি তিনি বলতে পারবেন না। তবে এবার নিজের খরচে বাল্বগুলো বিপিএল শেষে রাজশাহীতে এনে লাগিয়ে দিয়ে যাওয়া হবে—এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।