ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পঞ্চপল্লী এলাকা পরিদর্শনের সময় স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন দুই মন্ত্রী। বুধবার সন্ধ্যায়
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পঞ্চপল্লী এলাকা পরিদর্শনের সময় স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন দুই মন্ত্রী। বুধবার সন্ধ্যায়

মধুখালীর ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তারা মানুষ নামের কলঙ্ক: মন্ত্রী আবদুর রহমান

ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরের প্রতিমায় আগুন দেওয়ার অভিযোগ তুলে দুই নির্মাণশ্রমিককে হত্যার ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ফরিদপুর-১ (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের চোপেরঘাট গ্রামে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সমবেদনা জানান।

মন্ত্রী নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দ্রুত প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। পরে রাত আটটার দিকে তিনি ঘটনাস্থল ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রাম পরিদর্শন করেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন রাজবাড়ী-২ (পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী) আসনের সংসদ সদস্য ও রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। দুই মন্ত্রী মন্দির ও স্কুল পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের কোনো জাত নেই, ধর্ম নেই। তারা মানুষ নামের কলঙ্ক। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, দ্রুত বিচার আইনে এ ঘটনায় করা মামলার বিচার করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।

এ সময় ঢাকা বিভাগের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. মোরশেদ আলম, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক (আরিফ) উপস্থিত ছিলেন।