কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারা দেশে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত, বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টা থেকে ওই বিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এরপর দুপুর ১২টার দিকে কালো পতাকা হাতে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের চৌরাস্তার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পথে বাধা দেয় পুলিশ। ওই সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সড়কের এক পাশে অবরোধে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ সময় তাঁরা ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; জেগেছেরে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’; ‘আবু সাঈদ মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘লেগেছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। পরে ছাত্রসমাজের ৯ দফা দাবির কথা তুলে ধরেন সাবাব ইসমাইল নামের এক শিক্ষার্থী। ঘণ্টাব্যাপী অবস্থানের পর বেলা দেড়টার দিকে সড়ক ছেড়ে যান তাঁরা।
জানতে চাইলে জেলার কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মী হাবিবুল্লাহ সুমন বলেন, ‘অধিকার আদায়ের জন্য সারা দেশের ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই আন্দোলন ঠেকাতে একটি গোষ্ঠী অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ আন্দোলন ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের বুকে গুলিও চালানো হয়েছে। সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত হওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত, বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি।’
অন্যদিকে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়েছি। তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ পালন করতে চাইলে, তাঁদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’