মামলা
মামলা

সিলেটে আরেক মামলার আসামি ৫ সাবেক মন্ত্রী-উপদেষ্টা-সংসদ সদস্য ও ৮ কাউন্সিলর

সিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দেশি অস্ত্রশস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মোমেনের আদালতে মামলাটি করা হয়।

মামলার বাদী নগরের কাজীটুলা এলাকার ডব্লিউ এস জালাল উদ্দিন রোডের বাসিন্দা মাহবুব হুসাইন (৩০)। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী (সিআর ফাইলিং) মিজানুর রহমান।

মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমদ ও সাবেক সভাপতি ফারুক আহমদ মিছবাহকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় ৮৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর বাইরে অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নাম উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিমাদ আহমদ, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এজাজ আহমদ প্রমুখ আছেন। এ ছাড়া মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের আটজন কাউন্সিলরকে আসামি করা হয়। তাঁরা হলেন রেজওয়ান আহমদ, তৌহিদ আহমদ, শেখ তোফাফেল আহমদ, আবুল কালাম লায়েক, আবদুর রকিব, নজমুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও রুহেল আহমদ।

মামলার আরজিতে বলা হয়, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আন্দোলনরত কোটাবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর দেশি অস্ত্রশস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসামিরা হামলা করে। হামলাকারীরা মুহুর্মুহু গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে। নগরের দরগাগেট এলাকায় নূরজাহান ক্লিনিকের সামনের মূল রাস্তায় গত ১৯ জুলাই আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আসামিদের হাতে দা, কুড়াল, রড, বন্দুক, পিস্তলসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ছিল বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের এলোপাতাড়ি গুলিতে অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। বাদীর শরীরেও ১০০-১৩০টি স্প্লিন্টার লাগে। এ অবস্থায় বাদী সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন।