চট্টগ্রাম জেলা মানচিত্র
চট্টগ্রাম জেলা মানচিত্র

চট্টগ্রামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসে আজও উপস্থিতি কম

চট্টগ্রাম নগরের স্কুল-কলেজ ও সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোয় উপস্থিতি আজ বৃহস্পতিবারও খুব কম ছিল। নিরাপত্তার আশঙ্কা থাকায় শিশুদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকেরা। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

অভিভাবকেরা বলছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নানা দিক থেকে দুঃসংবাদ আসছে। এমন অবস্থায় তাঁরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। পরিস্থিতি বুঝে সপ্তাহখানেক পর সিদ্ধান্ত নেবেন।  

নগরের নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও উপস্থিতি কম। অভিভাবকেরা উদ্বেগে থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠাচ্ছেন। তবে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

নগরের বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়েও দুই পালায় শ্রেণি কার্যক্রম হয়। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরিফ উল হাছান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, দুই পালায় শিক্ষার্থী প্রায় সাত হাজার। সকালের পালা শুরু হয় সকাল ৭টায়, দুপুরের পালা দুপুর ১২টায়। দুই পালা মিলিয়ে ২০০ শিক্ষার্থী এসেছে। অন্যদিকে কলেজিয়েট স্কুলে প্রাতঃশাখায় মাত্র দুজন শিক্ষার্থী এসেছে।

এর আগে গত সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সব প্রতিষ্ঠানেই উপস্থিতিই কম। সড়কেও গণপরিবহন কম।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ কর্মক্ষেত্রে আসেননি। এই দুই সংস্থায় কর্মকর্তাদের উপস্থিতিও কম বলে জানা গেছে।