বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে থাকা এক বিএনপি কর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের মান্দাইল গ্রামের ঝিনাগাড়ি পুকুরের পাশ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহত বিএনপির কর্মীর নাম আবদুল মতিন (৫০)। তাঁর বাড়ি উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের মান্দাইল গ্রামে। স্থানীয়ভাবে তিনি বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
নিহত আবদুল মতিনের ছেলে মিলন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর বাবাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এরপরও হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বাবার মাথার পেছনের অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। তিনি তাঁর বাবার হত্যার বিচার চান।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি শেরপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ-আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন এলাকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মামলা হয়। ১৫ নভেম্বর আবদুল মতিনসহ স্থানীয় উপজেলা বিএনপির ৬৭ জনের নামে বিস্ফোরণ ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা করে শেরপুর থানা-পুলিশ। মামলায় আবদুল মতিন ৬৪ নম্বর আসামি ছিলেন। গ্রেপ্তারের ভয়ে তিনি বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াতেন।
শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল মতিন বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটির সদস্য। তিনি থানা-পুলিশের করা মিথ্যা মামলায় পুলিশের ভয়ে গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে ছিলেন। এরই মধ্যে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন। এ ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবু কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল মতিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।