সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘আজকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কথা বলা হচ্ছে। অনেক সমালোচনা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার কথাও আসছে। যাঁরা দেশ পরিচালনা করেন কিংবা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকেন, তাঁদের ক্ষমতার উৎস যদি জনগণ হয়, তাহলে কোনো সাম্রাজ্যবাদ ক্ষতি করতে পারবে না, যেমন একাত্তরেও পারে নাই।’
গত শতকের ষাটের দশকের অন্যতম ছাত্রনেতা, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পঙ্কজ ভট্টাচার্যের নাগরিক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন সুলতানা কামাল। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে জামালপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির বীর মুক্তিযোদ্ধা গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবু মিলনায়তনে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
পঙ্কজ ভট্টাচার্যের স্মৃতিচারণা করে সভায় সুলতানা কামাল বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই সরাসরি দলীয় রাজনীতি না করলেও রাজনীতি দেখেছি পারিবারিকভাবে। ১৯৪৭ থেকে যতগুলো আন্দোলন হয়েছে; ভাষা আন্দোলন, আমাদের সাংস্কৃতিক, স্বাধিকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, নারী আন্দোলন—যেকোনো সামাজিক আন্দোলনের সবকিছুর সঙ্গেই পঙ্কজ দার একটি সংযোগ ছিল। পঙ্কজ দা সেই জায়গার গুরুত্ব থেকেই সামাজিক আন্দোলন শুরু করেছিলেন।’ পঙ্কজ ভট্টাচার্যের আদর্শ ও স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন সুলাতানা কামাল।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য নাগরিক স্মরণসভা পরিষদ জামালপুর আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ। কবি ও সাংবাদিক সাযযাদ আনসারীর সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান, ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল আবদুন নাছের, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন, প্রয়াত পঙ্কজ ভট্টাচার্যের শ্যালিকা বহ্নিশিখা পুরকায়স্থ, নাগরিক স্মরণসভা পরিষদের আহ্বায়ক উৎপল কান্তি ধর ও সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর সেলিম প্রমুখ।