গাজীপুর নগরের কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা গ্রুপের প্রধান ফটকের সামনে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের একটি তালিকা সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায়
গাজীপুর নগরের কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা গ্রুপের প্রধান ফটকের সামনে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের একটি তালিকা সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায়

গাজীপুরের বন্ধ ঘোষণা করা তুসুকা গ্রুপের ২৩৯ শ্রমিক ছাঁটাই

গাজীপুর নগরের কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা গ্রুপের ৬টি কারখানা এক সপ্তাহ আগে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এবার বন্ধ থাকা কারখানাগুলোর ২৩৯ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের একটি তালিকা কারখানার প্রধান ফটকে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তুসুকা কারখানার শ্রমিক মনির হোসেন বলেন, অনেক শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে—এই খবর পেয়ে সকালে কারখানায় গেটে এসে দেখেন তাঁর নাম আছে। যেদিন আন্দোলন হয়েছে, সেদিন তাঁর ডিউটি ছিল রাতে। তাঁর কী দোষ, তিনি বুঝতে পারছেন না।

কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শিল্প পুলিশ জানায়, ২ নভেম্বর শ্রমিক আন্দোলনের কারণে ৩ নভেম্বর থেকে কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা গ্রুপের তুসুকা জিনস লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিটেড, তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেডসহ ৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর কারখানায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ২৩৯ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। শ্রমিক ছাঁটাইয়ে খবর পেয়ে সকাল থেকে আশপাশের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা কারখানার সামনে ভিড় করেছেন।

ছাঁটাইকৃত শ্রমিক ফেরদৌসী আক্তার বলেন, ‘কারখানায় যদি হামলা-ভাঙচুর হয় আমাদের কী দোষ! আমরা চাকরি ফিরে চাই। আমরা কাজ করতে চাই। কোনো ঝামেলা চাই না।’

তুসুকা গ্রুপের পরিচালক তারেক হাসান প্রথম আলোকে বলেন, শ্রম আইনের বিধিমোতাবেক ২৩৯ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। তাঁদের সব পাওনা শ্রম আইন অনুযায়ী পরিশোধ করা হবে। কারখানায় মারামারি ও ভাঙচুরের অভিযোগে এই ছাঁটাই করা হয়েছে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব বলেন, শ্রমিক ছাঁটাইয়ের খবর পেয়ে কোনাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া গোয়েন্দা নজরদারিও রয়েছে।