বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে মেঘনা নদী ও সাগর মোহনা উত্তাল হয়ে উঠেছে। গত কয়েক দিনে সাগর মোহনায় তিনটি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনায় একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ আছেন ৮ জেলে।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সেলিমের ছেলে নুর আলম (৩০), মো. হোসেনের ছেলে মো. কবির হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহে আলম মোল্লা (৫০), আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল গণি মৃধার ছেলে মো. বেল্লাল (৫০), আবদুল জলিলের ছেলে ছাদেক মাল (৬০), তাজুলের ছেলে মো. সবুজ (৪০), শাহে আলমের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর মিস্ত্রি (৪৫) ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল হক মাতব্বরের ছেলে মো. হোসেন মাঝি (৫০)।
চরফ্যাশন উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, চরফ্যাশন উপজেলার সাগর মোহনার শিবচর এলাকায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে ১৩ জন জেলেসহ একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জেলে সাঁতরে এবং অন্য জেলেদের সহায়তায় জীবিত উদ্ধার হন। বাকি ৮ জেলে এখনো নিখোঁজ আছেন। এ সময় প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ট্রলারটি মালামালসহ ডুবে যায়। নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে চরমানিকা ক্যাম্পের কোস্টগার্ড ও কুকরিমুকরি ক্যাম্পের নৌ পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ও আহমেদপুর ইউনিয়নে।
ট্রলারটির মালিক রুবেল চৌকিদার বলেন, গতকাল বিকেলে শিবচর থেকে ঘাটে ফেরার পথে ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি উল্টে যায়। তাৎক্ষণিক ট্রলারের চালক মো. দুলাল মাঝিসহ পাঁচজনকে অন্য ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করলেও আটজন এখনো নিখোঁজ আছেন।
এ দিকে বৃহস্পতিবার রাতে চরফ্যাশন উপজেলার পাঁচকপাট মাছঘাটের আবদুল মান্নানের একটি ট্রলার ১২ জন জেলে নিয়ে সাগরের তিনচরের নামায় ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে ঝড় ও বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়। জেলেরা জীবিত উদ্ধার হলেও প্রায় ৫০ লাখ টাকার ট্রলারটি উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
অপর দিকে ভোলার লালমোহন উপজেলার বাত্তিরখাল মাছঘাটের মো. রুবেল মাঝির ট্রলার ২৭ জুলাই সাগর মোহনায় ঝড়ের কবলে পড়ে। ওই সময় ট্রলার থেকে উপজেলার ধলীগৌরনগর গ্রামের মো. আলম মাঝি নামের এক জেলে পড়ে যান। চার দিন পর ১ আগস্ট তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।