ছয় দফা দাবিতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আজ বুধবার সকালে
ছয় দফা দাবিতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আজ বুধবার সকালে

টঙ্গীতে ৬ দফা দাবিতে বেক্সিমকোর শ্রমিকদের বিক্ষোভ

গাজীপুরের টঙ্গীতে ছয় দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন একটি কারখানার শ্রমিকেরা। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী এলাকায় ‘বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড’ কারখানা–সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে সেখানে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।

সালমান এফ রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় ১৩ আগস্ট রাতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। বর্তমানে তিনি কারাগারে।

পুলিশ ও কারখানাটির শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস ধরে বেতন-ভাতা ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। এ নিয়ে একাধিকবার কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের দাবির কথা জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো প্রতিকার মেলেনি। এসব কারণে আজ সকালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক। এ সময় তাঁদের পক্ষ থেকে ছয়টি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

দাবিগুলো হলো কোনো শ্রমিক চাকরিতে যোগদানের পর পাঁচ বছর পূর্ণ হলে তাঁকে চাকরিতে স্থায়ী করতে হবে; কারখানায় খাবারের বৈষম্য দূর করতে হবে; শ্রমিকেরা প্রতিষ্ঠানের অধীনে থাকতে চান, তৃতীয় পক্ষ তথা কোনো কনট্রাক্টর (চুক্তির) অধীনে থাকতে চান না; প্রতি দুই বছর পরপর যে ডিমান্ড হয়, তা সর্বনিম্ন ৩০% বৃদ্ধি করতে হবে; যাঁদের চাকরির বয়স ৩৫ পূর্ণ হয়েছে, অবসরের সময় তাঁদের সর্বনিম্ন সম্মানী ভাতা দিতে হবে এবং বিক্ষোভ বা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না।
দুপুর ১২টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান করছিলেন। দাবি আদায়ে বিক্ষোভ ও স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো.মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তাঁদের বুঝিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি মহাসড়কে যেন যেতে না পারেন, সেদিক খেয়াল রাখছি। মূলত দীর্ঘদিনের বৈষম্যের ক্ষোভ থেকে ছয় দফা নিয়ে শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমেছেন। আমরা এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।’