বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আট যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় হওয়া দ্বিতীয় মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের ভাতিজা তোফায়েল হোসেনের (৫৮) চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের ৪ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) কাইমুল হক ও কুমিল্লার আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মুহাম্মদ বদিউল আলম শুনানিতে অংশ নেন। বদিউল আলম বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার চাহিদা অনুযায়ী আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
তোফায়েল উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তাঁর চাচা মুজিবুল হক কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গত বুধবার রাতে নিজ গ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
তোফায়েলের পক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তোফায়েল হোসেনের জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রাষ্ট্রপক্ষের চার দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’
থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় আট ঘুমন্ত বাসযাত্রীকে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হুকুমদাতা হিসেবে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর মো. আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে দ্বিতীয় মামলাটি করেন কুমিল্লার আদালতে। মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, তৎকালীন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, কুমিল্লার তৎকালীন পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় ১৫ নম্বর আসামি তোফায়েল হোসেন।