পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার মুরাদিয়া বোর্ড অফিস এলাকায় পটুয়াখালী-বাউফল সড়কে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে আজিজ আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজ, জয়গুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অন্য স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বোর্ড অফিস এলাকার সেতুর ওপর অবস্থান নেন। এতে পটুয়াখালী-বাউফল সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে প্রথমে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা সড়ক থেকে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালালে পাল্টা হামলার ঘটনার ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আন্দোলনকারীদের পাল্টা হামলায় টিকতে না পেরে অন্যান্য দলীয় নেতা-কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। পরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেলে করে সেখানে গিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান। পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। ওই সময় হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুমকী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান সিকদার (৩৫) ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফারুক মোল্লা (২২) দুমকী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। আহত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা স্থানীয়ভাবে ও অন্যত্র চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, নতুন করে আবার হামলার আশঙ্কায় হাসপাতালে না গিয়ে অন্যত্র চিকিৎসা নিচ্ছেন তাঁরা।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।