হাওরের গরু ‘উড়ালসড়ক’, দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জের হাওরে পালন করা হয়েছে ‘উড়ালসড়ক’ নামের বৃহৎ এটি গরুটি। করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালী এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জের হাওরের মিঠামইন সদর থেকে করিমগঞ্জের মরিচখালী পর্যন্ত হতে যাচ্ছে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়ালসড়ক। এই উড়ালসড়ক যেখানে এসে নামছে, সেই মরিচখালী এলাকার খোলা মাঠে বৃহদাকার একটি গরু ঘাস খাওয়ানোর জন্য ছেড়ে রাখতেন ইকবাল হোসেন। তাই শখ করে তিনি গরুটির নাম রাখেন ‘উড়ালসড়ক’।

উড়ালসড়কের ওজন ৩৫ মণ। লম্বায় ১১ ফুট। উচ্চতায় ৬ ফুট। গরুটি পালন করা হচ্ছে মরিচখালী খয়রত গ্রামের ইকবাল হোসেনের উশা ডেইরি ফার্ম অ্যান্ড অ্যাগ্রো খামারে। গ্রামটি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নে পড়েছে।

ইকবাল হোসেন ঢাকা আইডিয়াল কলেজ তেজগাঁওয়ের অধ্যক্ষ। শিক্ষকতার পাশাপাশি নিজ বাড়িতে তিনি গরুর খামার দিয়েছেন। তাঁর খামারে উড়ালসড়ক ছাড়াও আরও ১৩টি গরু রয়েছে। এই গরু দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত লোক। দূর থেকে আসছেন ক্রেতারাও। উড়াল সড়কের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। তবে দামের বিষয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলে জানান ইকবাল হোসেন।

ইকবাল হোসেন বলেন, এই খামারের একটি গাভি থেকেই উড়াল সড়কের জন্ম হয়েছে। পরে দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করার প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। চার বছর বয়সী গরুটি হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের। এর দাঁত আছে ছয়টি। প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ কেজি খাবার খায়। খাবারের মধ্যে আছে কাঁচা ঘাস, শুকনা খড়, গমের ভুসি, ধানের কুঁড়া, ছোলা, মিষ্টিকুমড়া। সে হিসাবে প্রতিদিন গরুটির পেছনে খরচ হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। ইকবাল হোসেনের দাবি, গত বছর ওজন ছিল ১ হাজার ২০০ কেজি। তখন দাম উঠেছিল প্রায় ৭ লাখ টাকা। এ বছর ওজন ১ হাজার ৪০০ কেজি ছাড়িয়ে গেছে। গরুটির ওজন প্রতিদিনই বাড়ছে।

করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হাছান বলেন, উড়ালসড়ক গরুটি তিনি দেখেছেন। এটি বেশ সুন্দর এবং বড় গরুর একটি। গরুটিকে প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, উড়ালসড়ক গরুটির মালিক একজন সফল উদ্যোক্তা। তাঁর খামারেই গরুটিকে পেলে-পুষে বড় করা হয়েছে। নিয়মিত দেখভাল করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়।