কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ধাক্কা দিয়ে সেতু ভেঙে দেওয়া বাল্কহেডটি প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মালিকের উদ্যোগে বাল্কহেডটি উদ্ধার করে সেতুর উত্তর পাশে রাখা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে ওই বাল্কহেড উপজেলার ছান্দ্রা গ্রামের কাছে কালাডুমুর নদের ওপর নির্মিত সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে সেতুর মাঝখানের অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে। দুর্ঘটনার পর থেকে সেতুর ভাঙা অংশ বাল্কহেডের ওপর ও একাংশ নদীতে ডুবে ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ওই বাল্কহেডের মালিক নিজস্ব উদ্যোগে শ্রমিক নিয়োগ করে বাল্কহেডের ওপর পড়ে যাওয়া সেতুর অংশ ভাঙতে শুরু করেন। ভেঙে পড়া সেতুর রডগুলো বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সাহায্যে কেটে ফেলা হয়। পরে আজ সকাল নয়টার দিকে প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর বাল্কহেডটি উদ্ধার করা হয়।
ওই গ্রামের চারজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে তিনটার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখেন, কালাডুমুর নদের ওপর সেতুর মাঝখানের একটি অংশ ভেঙে অর্ধেক অংশ নদীতে এবং অর্ধেক অংশ বাল্কহেডের ওপর পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাল্কহেডের চালক ও চালকের তিন সহকারীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ওই বাল্কহেডের মালিকের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেসার্স রায়হান ইসরাত পরিবহনের একটি বাল্কহেডটি ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় বালু ফেলে ফিরছিল। খালি বাল্কহেডটি কালাডুমুর-গোমতী-মেঘনা নদী হয়ে গজারিয়ায় যাওয়ার পথে ছান্দ্রা গ্রামের কাছে পৌঁছালে বাল্কহেডটি সেতুর একটি পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে সেতুর মাঝখানের একটি অংশ ভেঙে পড়ে যায়।
দাউদকান্দি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মো. আফসার হোসেন খন্দকার বলেন, কালাডুমুর নদের ওপর নির্মিত সেতুটি দৈর্ঘ্য ৭৫ মিটার। ২০০৩ সালের দিকে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখন একই স্থানে একটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে এলজিইডির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় জরুরি ভিত্তিতে লিখিত জানানো হবে। স্থানীয় লোকজনের চলাচলের জন্য আপাতত নৌকার ব্যবস্থা করা হবে। বাল্কহেডের মালিককে সেতু এলাকা পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।