ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটিতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা সাজেক ইউনিয়নের সাজেক ভ্যালিতে (রুইলুই ভ্যালি) এবার রিসোর্ট-কটেজের আগাম কক্ষ বুকিং তেমন হয়নি। এখন পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়েছে। অথচ অন্যান্য বছর ঈদ সামনে রেখে ১০–১৫ দিন আগে আগাম শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে যায়। এবার এমন পরিস্থিতির কারণে রিসোর্ট-কটেজের মালিকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ পরিশোধে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার থেকে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হয়েছে। রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি জানায়, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সাজেকে রিসোর্ট-কটেজের বুকিং নেই বললে চলে। এখন পর্যন্ত মাত্র ২০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়েছে। আর ৬০ শতাংশ রিসোর্ট-কটেজে কোনো কক্ষ ভাড়া হয়নি। এ অবস্থায় রিসোর্ট-কটেজ মালিকদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। তাঁদের রিসোর্ট-কটেজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ মেটাতে পুঁজি ব্যবহার করতে হবে। তবে সাপ্তাহিক ও ঈদুল আজহার ছুটির পরে ১৯, ২০ ও ২১ জুন কিছু কক্ষ বুকিং হচ্ছে।
সাজেক হিল ভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্রো জিৎ চাকমা বলেন, ‘এবার ঈদুল আজহার ছুটিতে আমার রিসোর্টের এখনো কোনো কক্ষ ভাড়া হয়নি। অথচ অন্যান্য বছর অনেক আগে থেকে আগাম বুকিং হয়ে যেত। এবার অবস্থা খুব একটা ভালো দেখা যাচ্ছে না। তবে ঈদের ছুটির শেষে পরের সাপ্তাহিক ছুটির অনেকের আগাম বুকিং হচ্ছে। ঈদের ছুটিতে কক্ষ ভাড়া না হওয়ায় পুঁজি চলে যাবে।’
এদিকে গত এপ্রিলে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সাজেক রুইলুই ভ্যালির ১১২টি রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ ১০ দিন আগে আগাম বুকিং হয়ে যায়। যাঁরা বুকিং ছাড়া সাজেকে ভ্রমণ করতে যান, তাঁরা বিপদে পড়েন। আগাম বুকিং না দিয়ে পাঁচ শতাধিক পর্যটক সাজেক ভ্যালিতে যান। এর মধ্যে তিন শতাধিক পর্যটক ফিরে যান। যাঁরা ফেরত যাননি, তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘরে, বারান্দা, অসমাপ্ত রিসোর্ট-কটেজ ও রাস্তায় ঘুরে রাত কাটিয়েছেন।
সাজেকের রুইলুই পর্যটন কেন্দ্রে রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেবর্বমণ প্রথম আলোকে বলেন, এবার সাপ্তাহিক ও ঈদুল আজহার ছুটিতে রিসোর্ট-কটেজে কক্ষ তেমন বুকিং হয়নি। ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বুকিং হতে পারে। অথচ অন্যান্য বছর ঈদের ছুটিতে ১০–১৫ দিন আগে সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে যায়। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে পরের সাপ্তাহিক ছুটিতে আগাম বুকিং হচ্ছে। আশা করছেন, ভাগ্য ভালো হলে শতভাগ বুকিং হবে অথবা কক্ষ বুকিং না নিয়ে অনেক পর্যটক আসবেন।