সিলেট সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসভবনে অজ্ঞাত তিন ব্যক্তি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজে ওই তিন ব্যক্তিকে দেখা গেছে। তবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে রয়েছেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যপদ থেকে এই পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। তার আগে মেয়র থাকা অবস্থায় গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি দলীয় নির্দেশনা মেনে অংশ নেননি। ওই নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ৭ নভেম্বর আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর কাছে মেয়রের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন আরিফুল হক চৌধুরী।
সিলেট নগরের কুমারপাড়া এলাকায় আরিফুল হকের বাসা। ওই বাসার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই বাসভবনের সামনে তিন ব্যক্তি আসেন। তাঁদের মধ্যে দুজন ব্যক্তি আরিফুলের বাসভবনের প্রধান ফটকের দিকে দুটি ও ফটকের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। দুজনের সঙ্গে থাকা অপর ব্যক্তি ককটেল বিস্ফোরণের দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও করেন। পরে তাঁরা দ্রুত পালিয়ে যান।
আরিফুল হকের সমর্থকেরা দাবি করেছেন, হরতাল সফলের আহ্বান জানিয়ে গত শনিবার আরিফুলের নেতৃত্বে সিলেট নগরে বিশাল মিছিল হয়। সরকারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর সক্রিয়তা দেখে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আওয়ামী লীগের ইন্ধনে এ ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে।
আরিফুল হক চৌধুরী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারা এ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন, তা প্রাথমিকভাবে বলতে পারছি না। তবে সিসিটিভির ফুটেজে তাঁদের কর্মকাণ্ড ধরা পড়েছে। নিশ্চয়ই এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা শনাক্ত হবেন। তবে কোনো ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাকে দমানো যাবে না।’
জানতে চাইলে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সাবেক মেয়রের বাসার সামনে কারা ককটেল ফাটিয়েছেন, তাঁদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।