খুলনায় হিন্দু ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হককে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিএনপি। তবে বহিষ্কার হওয়ার পরও দলীয় কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে। আর দলটির অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারাই তাঁকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন খোদ জেলা বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা।
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও সদস্যসচিব এস এম মনিরুল হাসান এ ব্যাপারে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলামের কাছে গতকাল বুধবার তাঁরা বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তাতে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে যাঁদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তাঁদেরকে নিয়ে যেন কোনো কর্মসূচি কোনো অঙ্গসংগঠন না করে, তার ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা চেয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় এই দুই নেতার দিকনির্দেশনাতেই খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতারা চলেন।
কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে কিছুদিন আগে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম এনামুল হককে হিন্দুবাড়িতে হামলা, ঘের দখল, বিভিন্ন দোকান লুটপাট ও দলীয় নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তবে খুলনা জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক (রুবায়েদ) এনামুলকে নিয়ে মিছিল করেছেন, যার ভিডিও ফুটেজ তাঁদের কাছে আছে। এ ছাড়া ২০ আগস্ট পাইকগাছা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক দল খুলনা জেলার সভাপতি শেখ তৈয়েবুর রহমান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান এনামুলকে মঞ্চে নিয়ে কর্মসূচি করেছেন। তাতে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এনামুলকে বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দিয়েছেন।
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে যাঁদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তাঁদেরকে নিয়ে যেন কোনো অঙ্গসংগঠন কর্মসূচি না করে, তার ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্রীয় ওই দুই নেতার কাছে আবেদন জানান জেলা বিএনপির শীর্ষ এই দুই নেতা। আমীর এজাজ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েছি। তাঁরাই বিষয়টি দেখবেন।’