লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে সৎমা, ভাই ও ভাগনিকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম মো. তারেক (২৬)। আজ রোববার সকালে নিহত সখিনা বেগমের ছেলে নাজিম উদ্দিনের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের পোড়াগাছা গ্রামের সখিনা বেগম (৪০), তাঁর ছেলে মো. মাহিন (৬) ও নাতনি ফারিয়া আক্তারের (৪) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। সখিনার সৎছেলে মো. তারেক তাঁদের হত্যা করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এ ঘটনায় করা মামলায় তারেককে প্রধান করে পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
তারেকের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পোড়াগাছা গ্রামের সিদু মিস্ত্রির প্রথম স্ত্রীর ছেলে তারেক। তিনি ঢাকায় থাকেন। দুই দিন আগে ঢাকা থেকে তিনি বাড়িতে আসার পর সৎমা তাঁকে খাবার খেতে দেননি। এ ছাড়া তাঁকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন তারেক। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরে গতকাল রাতে কলহের জের ধরে তিনি প্রথমে সখিনা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেন। এ সময় মাহিন ও ফারিয়া তাঁকে দেখে ফেলে। পরে তাদেরও হত্যা করেন তারেক। ঘটনার পর পালানোর সময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে মো. তারেককে আটক করে রাখেন। পরে তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারেক হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।