সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামমুখী রোডমার্চ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালাকচুয়া খন্দকার ফুড গ্যালারি মাঠে রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশ হয়। রোডমার্চটি কুমিল্লা থেকে ফেনী হয়ে চট্টগ্রামে যাবে। বিকেলে চট্টগ্রামের নেভাল অ্যাভিনিউ সড়কে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে রোডমার্চের সমাপ্তি সমাবেশ হবে।
চট্টগ্রামের পথে মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডে বিএনপির পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিএনপির রোডমার্চকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের কোনো তৎপরতা এখনো চোখে পড়েনি। রোডমার্চের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঢাকামুখী যানগুলো ধীরে ধীরে চলছে। ফলে মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের।
রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদ। এতে বক্তব্য রাখেন প্রধান বক্তা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোডমার্চের নেতৃত্ব দেবেন। সমাবেশে কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যোগ দিয়েছেন।
এদিকে আজ সকালে রোডমার্চ সফল করতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি এ জেড এম গোলাম হায়দার বিএসসি ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা জেলা শহর মাইজদীর পৌরসভা গেটে জড়ো হন। সেখান থেকে তাঁরা বাস, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে ফেনীর উদ্দেশে যাত্রা করেন। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন পোস্টার-ব্যানার বহন করতে দেখা যায়। ফেনীর পথে এখন পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হননি বলে জানান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।
নোয়াখালী সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়ন থেকে রোডমার্চে অংশ নিতে এসেছেন ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি আবদুল লতিফ। তৃণমূলের এই নেতা প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করতে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে বিএনপির এক দফার আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন তিনি। সরকারের পদত্যাগ ছাড়া দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তাই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত তিনি রাজপথে থাকবেন।