চট্টগ্রামের পটিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর প্রচারণায় হামলায় ভাঙচুর করা মাইক্রোবাস। আজ বিকেলে শান্তিরহাট এলাকায়
চট্টগ্রামের পটিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর প্রচারণায় হামলায় ভাঙচুর করা মাইক্রোবাস। আজ বিকেলে শান্তিরহাট এলাকায়

পটিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর দুই দফা হামলা-গুলিবর্ষণের অভিযোগ

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর প্রচারণা চলাকালে দুই দফা হামলা, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় ও বিকেল ৫টায় কুসুমপুরা ইউনিয়নের শান্তিরহাট ও পানওয়ালাপাড়ায় হামলার ঘটনা ঘটে।

সামশুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শান্তিরহাট থেকে প্রচারণা ও গণসংযোগ শুরু করেন। প্রচারণা শুরু হওয়ার ২০ মিনিটের মাথায় তাঁর ওপর প্রথম দফা হামলা হয়। এ সময় তাঁর ভাইসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পানওয়ালাপাড়ায় গেলে সেখানে আরেক দফা হামলা হয়।

সামশুল হক চৌধুরীর অভিযোগ, পানওয়ালাপাড়া এলাকায় নৌকার সমর্থকেরা ২০–২৫টি মোটরসাইকেলে এসে তাঁর গাড়িবহরে হামলার এক পর্যায়ে গুলিবর্ষণ করেন। পাশাপাশি হকিস্টিক, কিরিচ, রামদা ও লাঠিসোঁটা দিয়ে তাঁর সমর্থকদের আঘাত করেন। এতে তাঁর ছোট বোনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে ও তাঁর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী নাজমুল করিম চৌধুরীর দাবি, নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সমর্থকেরা এ হামলা করেছেন। তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আ ক শামশুজ্জামান হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, তাঁরা প্রচারণা নিয়ে আছেন। হামলার বিষয়ে কোনো কিছু শুনেননি।

পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভা নিয়ে চট্টগ্রাম-১২ আসন। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন নয়জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা তিনবারের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর মধ্যে হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

জানতে চাইলে পটিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, গাড়ি ভাঙচুরের কথা তিনি শুনেছেন। কিন্তু গুলিবর্ষণের বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে ঘটনা তদন্ত করে দেখছেন।