কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নুর কায়াছ (২৬) নামের এক রোহিঙ্গা গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিয়ে বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৮ পশ্চিম) বি-৫৭ ব্লকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। একই সময়ে ময়নারঘোনা (ক্যাম্প-১২) আশ্রয়শিবিরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আবদুর রহিম (৩৮) নামের এক রোহিঙ্গা মাঝি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
নিহত নুর কায়াছ বালুখালী আশ্রয়শিবিরের বি-৫৭ ব্লকের বাসিন্দা নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী। আর আবদুর রহিম ময়নারঘোনা আশ্রয়শিবিরের এইচ-১ ব্লকের করিম উল্লাহর ছেলে। তিনি ওই শিবিরের জি-১ ব্লকের প্রধান মাঝি। গোলাগুলির জেরে হতাহতের ঘটনায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আশ্রয়শিবিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া ও অপারেশন) মো. ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, পারিবারিক কলহ বা সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে নুর কায়াছ নামের ওই গৃহবধূ গুলিতে খুন হতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দুজন রোহিঙ্গাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এপিবিএন সূত্র জানায়, বেলা পৌনে ১১টার দিকে নিহত নুর কায়াছ পাশের আরেক রোহিঙ্গা নারীর বসতঘরের সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় গুলি ছোড়া হলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন নুর কায়াছ। স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যান। বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে নুর কায়াছ মারা যান।
মো. ফারুক আহমেদ বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালাচ্ছে এপিবিএন।
উখিয়া থানা-পুলিশ জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়ার ময়নারঘোনা (ক্যাম্প-১২) আশ্রয়শিবিরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন জি-১ ব্লকের প্রধান মাঝি আবদুর রহিম। মুখোশ পরা কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী প্রথমে রহিমকে জিম্মি করে। সন্ত্রাসীরা মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ রহিমকে উদ্ধার করে কুতুপালং এসএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, অবস্থার অবনতি হলে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নেতা আবদুর রহিমকে বিকেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পৃথক দুই ঘটনায় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।