সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার একটি কেন্দ্রে চাকু নিয়ে প্রবেশ করায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা সদরের সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই এজেন্টের নাম মাসুক মিয়া। তাঁর বাড়ি উপজেলার মুরাদপুর গ্রামে।
কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা একাধিক কর্মকর্তা জানান, মাসুক মিয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী আরিফুল ইসলামের (জুয়েল) এজেন্ট। ওই কেন্দ্রের ৭ নম্বর কক্ষে দায়িত্বে ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি অন্য প্রার্থীর এক এজেন্টের সঙ্গে ভোট দেওয়া নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরপর কক্ষের ভেতরে থাকা অন্য প্রার্থীর এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেন। তখন সবাই এর প্রতিবাদ করেন এবং বিষয়টি প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
পরে কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ মাসুক মিয়াকে আটক করে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে একটি ধারালো চাকু উদ্ধার করে। এ সময় কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিম। পুলিশ মাসুক মিয়াকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করলে তিনি মাসুক মিয়াকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দোয়ারাবাজার সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন। তাঁরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান আল তানভীর আশরাফী, উপজেলা বিএনপির নেতা (বহিষ্কৃত), উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আরিফুল ইসলাম (জুয়েল), উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন ও আওয়ামী লীগের দেওয়ান আশিদ রাজা চৌধুরী।
উপজেলাটিতে ৯টি ইউনিয়নে ভোটার ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৪ হাজার ১৩৪ ও নারী ভোটার ৬৫ হাজার ৯৪২ জন। এখানে কেন্দ্র আছে ৬১টি।