লোকালয়ে মুখপোড়া হনুমান, দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়

লোকালয়ে চলে আসা মুখপোড়া হনুমানটি দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয় লোকজন। শুক্রবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর বাজার এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরে এলাকার লোকালয়ে ঘুরছে একটি মুখপোড়া হনুমান। কয়েক দিন ধরে বড় আকারের হনুমানটি লোকালয়ে দেখা যাচ্ছে। কখনো গাছে, আবার কখনো বাড়ির ছাদে, দেয়ালে ঘোরাফেরা করছে হনুমানটি। এটি দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক লোকজন।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার আগে নিয়ামতপুর বাজারে একটি গাছে স্থানীয়রা দেখতে পান হনুমানটি। আহমেদ নাদভী নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পরও হনুমানটি নিয়ামতপুর বাজার এলাকায় অবস্থান করছিল।

স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল হাশেম বলেন, তিনি গত বৃহস্পতিবার হনুমানটিকে মুড়িকান্দি এলাকায় একটি বাসার ছাদে দেখেছেন। এ সময় অনেকেই হনুমানটিকে কলা, পাউরুটি, বিস্কুট খেতে দেন। মুখপোড়া হনুমানটি এক সপ্তাহ ধরে নিয়ামতপুরের মুড়িকান্দি, রৌহা, মনসন্তোষসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছে। বন্য প্রাণী হঠাৎ লোকালয়ে চলে আসায় উৎসুক জনতা দেখতে ভিড় করছেন। তবে মুখপোড়া হনুমানটি যখন যাঁদের বাড়ির ছাদে অবস্থান করে, তখন তাঁরা আতঙ্কে থাকেন। এটির মুখের অবয়ব দেখে শিশুরাও ভয় পায়। প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা যেন এ বিষয়ে উদ্যোগ নেন।

হনুমানটি দলছুট হয়ে লোকালয়ে চলে এসেছে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কেউ যেন হনুমানটিকে বিরক্ত না করে। সেই সঙ্গে এর থেকে দূরত্ব বাজায় রাখতে পরামর্শ দেন তিনি।

লোকালয়ে চলে এসেছে মুখপোড়া হনুমানটি। শুক্রবার সন্ধ্যার আগে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর বাজার এলাকায়

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ঢাকা বিভাগের পরিদর্শক নিগার সুলতানা মুঠোফোনে বলেন, হনুমানটি হয়তো সিলেট বা চট্টগ্রাম থেকে দলছুট হয়ে কিশোরগঞ্জের লোকালয়ে চলে এসেছে। ঠিকমতো খাবার না পেলে কয়েক দিন পরে এমনিতেই চলে যাবে। কারণ, তারা দলবদ্ধ হয়ে বাস করতে পছন্দ করে। হয়তো কোনো কলার গাড়ির পেছনে ছুটে চলে এসেছে। তবে সেটা যদি মানুষের বিরক্তির কারণ হয়, তাহলে সেটা ধরার জন্য দল পাঠানো হবে। তবে শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই দলছুট হনুমান আবারও নিজের জায়গায় ফিরে যায়।