যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ইয়াকুব আলীর ঈগল প্রতীকের দুই কর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণ পর মনিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের হেলাঞ্চী কৃষ্ণবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটেছে।
নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা তাঁদের কুপিয়ে জখম করেছেন বলে আহত দুই কর্মী অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকার কর্মীরা।
আহত দুজন হলেন উপজেলার কৃষ্ণবাটী গ্রামের সাধন কুমার বিশ্বাস (৫৫) ও হেলাঞ্চী গ্রামের মশিয়ার রহমান (৬০)। সাধন কুমার খেদাপাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য এবং ওই ইউনিয়নের পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। আহত ব্যক্তিদের প্রথমে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের যশোরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আহত সাধন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ভোটকেন্দ্রে ভোটার স্লিপ আনতে গেলে খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল আলীম জিন্নাহর ভাই হাবিবুর রহমান ও মাহাবুর রহমান এসে আমাকে গালমন্দ করেন। তখন তাঁদের সঙ্গে থাকা এক যুবক কোমরে থাকা চাইনিজ কুড়াল বের করে আমার ডান বাহুতে এবং ঘাড়ের ডান পাশে দুটি কোপ দেয়।’
সাধন কুমার আরও বলেন, ‘এর আগে সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাঁরা ঈগলের আরেক সমর্থক মশিয়ার রহমানকেও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে ডান হাতের কনুইয়ের নিচে কুপিয়ে আহত করেন। আমরা দুজন এখন যশোরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি আছি। এ ছাড়া স্থানীয় এজেন্ট আব্বাস আলী ও হাফিজুর রহমান হামলার শিকার হয়ে কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান।’
আরও পড়ুনঃ
বগুড়ায় দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপরে হামলার অভিযোগ
ডিপফেক ভিডিও দিয়ে প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ভুয়া খবর ফেসবুকে
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস বলেন, রক্তাক্ত দুজনের মধ্যে সাধন কুমার বিশ্বাসকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছেন স্বজনেরা। অপরজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
জানতে চাইলে খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আলীম জিন্নাহ বলেন, ‘সকালে একটু ঠেলাঠেলি হয়েছে শুনেছি। কেউ আহত হয়েছে কি না, জানি না।’
হেলাঞ্চী কৃষ্ণবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এনামুল হাসান বলেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কোনো ঘটনা ঘটেনি। স্বাভাবিকভাবে ভোট গ্রহণ চলছে।
এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম মেহেদী মাসুদ।