ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় আওয়ামী লীগ কর্মী রবিউল ইসলাম হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাঁরা হলেন পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুসাইন আহম্মেদ, সহসভাপতি নাইম হোসেন (১৯) ও সরকারি লালন শাহ্ কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রানা মিয়া (২২)। গতকাল শনিবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, গত শুক্রবার আসরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় রবিউল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করেন দুর্বৃত্তরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে ওই দিন রাতেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিপক্ষ আক্কাচ আলীর বাড়িসহ ছয়টি বাড়িতে আগুন দেন রবিউলের লোকজন। এ সময় আক্কাচ আলীর সমর্থকেরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে রবিউল ইসলামের ভাগনে রনি প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন।
রবিউল ইসলাম হরিনাকুণ্ডু পৌরসভার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের মিনহাজ উদ্দীনের ছেলে। ছেলেকে হত্যার ঘটনায় মিনহাজ উদ্দীন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ ১৬ জনকে আসামি করে হরিনাকুণ্ডু থানায় মামলা করেন।
পুলিশের দাবি, গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের আক্কাচ আলী ও রবিউল ইসলামের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত শুক্রবার বিকেলে রবিউলের ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষ।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ওসি (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।