কুষ্টিয়ায় ফুটপাতে লুঙ্গি–গামছা বিক্রেতা বাবলু ফারাজি হত্যার ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ ১২৬ জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। নাম উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তারাও আছেন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা হিসেবে ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত বাবলু ফারাজির ছেলে সুজন মাহমুদ বাদী হয়ে আজ সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে এ মামলা করেন। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশনা দিয়েছেন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের পেশকার মতিয়ার হোসেন।
মামলায় আসামি হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) পলাশ কান্তি নাথ, কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মাহফুজুল হক চৌধুরী, ওসি (তদন্ত) দিপেন্দ্র নাথ সিংহ, এসআই সাহেব আলী, এএসআই আসাদুজ্জামান আসাদ, উজ্জল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাবলু ফারাজি (৫৮) ফুটপাতে লুঙ্গি, গামছা ও বিছানার চাদর বিক্রি করতেন। ৫ আগস্ট বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বেচাকেনা শেষে বাড়ি ফেরার পথে শহরের চার রাস্তার মোড়ে আন্দোলনকারী ও আসামিদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান তিনি। তখন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নির্দেশে ও ২ থেকে ২২ নম্বর আসামির হুকুমে অন্য আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর হামলা চালান। এ সময় বাবলু ফারাজিকে আন্দোলনকারী ভেবে কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই সাহেব আলী মাথায় গুলি করে হত্যা করেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার শহীদ আবু সরোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, একটি মামলা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন। তবে আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছেন কি না, এখনো কোনো কাগজ এসে পৌঁছায়নি।