সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরসহ পর্যটনকেন্দ্রগুলো সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা পারভীন আজ রোববার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুনামগঞ্জে ১৬ জুন থেকে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গত শুক্রবার থেকে নদীর পানি কমতে থাকে। এরপর সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৮ জুন থেকে দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জেলার তাহিরপুর উপজেলার শহীদ সিরাজ (নীলাদ্রি) লেক, যাদুকাটা নদী ও শিমুল বাগানে পর্যটকেরা যেতে পারবেন না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
গতকাল শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। তবে এখনো জেলায় অসংখ্য বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে পানি আছে। আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো মানুষ আছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আজ বেলা তিনটায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক ৫৪ মিটার। এখানে এখন সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার নিচে আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ২ মিলিমিটার।
জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলায় বন্যায় ১ হাজার ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়। পানিবন্দী হয়ে পড়ে প্রায় আট লাখ মানুষ। ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেয় প্রায় ২৫ হাজার পরিবার। আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছিল। পানি নামায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়িঘরে ফিরছে।