রাজশাহীর গণসমাবেশে বিএনপি কত লোক আনতে পারে, তা আ.লীগ দেখবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। আজ রোববার বিকেলে শাহ মখদুম থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি কয়টা লোক আনতে পারে, কয় লাখ লোক আনতে পারে, তাঁরাও একটু দেখতে চান। অতীতে দেখা গেছে, মাদ্রাসা মাঠের পাশের রাস্তাটাই তারা লোক দিয়ে ভরাট করতে পারেনি।
সমাবেশের আগে নগরের বিমান চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নওদাপাড়া বাজারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শাহ মখদুম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আখতারুল আলম। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক। সঞ্চালনা করেন শাহ মখদুম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সোহেল, রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী প্রমুখ।
সমাবেশে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান বলেন, রাজশাহীতে আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপি সমাবেশ ডেকেছে। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহরে করে এখন রাজশাহীতে করবে। তাদের কথা অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে পুরো ঢাকা অচল করে দেবে। বাংলাদেশ তাদের হাতে নিয়ে নেবে। তাদের কথা অনুযায়ী, ১০ তারিখ রাত থেকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এ দেশ চলবে। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, দেশ চালিয়েছেন। ভালো না কেমন চালিয়েছেন, তা দেশবাসী, রাজশাহীবাসী ভালো জানে। তিনি নড়তে পারেন না, চড়তে পারেন না, অসুস্থ মানুষ। তিনি ১০ তারিখ রাত থেকে দেশ চালাবেন, বিএনপির এমন কথা কী বিশ্বাস করা যায়? তাঁর সন্তান তারেক রহমান লন্ডনে আছেন। তিনি মানি লন্ডারিং মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আর খালেদা জিয়া এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলার আসামি।
রাজশাহী সিটি মেয়র বলেন, ‘বিএনপি এখন দু-তিন দিন আগে সমাবেশের জায়গায় এসে পিকনিক করার মতো করে সবাইকে জমায়েত করছে। কোথাও হাঁড়িতে হাঁড়িতে রান্না হচ্ছে, কোথাও গান-বাজনা হচ্ছে, কোথাও জারি-সারি হচ্ছে, কোথাও গল্প-আড্ডা হচ্ছে। এই যদি বিএনপির রাজনীতি হয়, তাহলে ওই রাজনীতি তারা করতে থাকুক। এটা করে আওয়ামী লীগের একটা পশমও ছিঁড়তে পারবে না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান বলেন, ‘দেশটা কী বিএনপি-জামায়াতের বাপ-দাদার তালুক যে তাদের কথায় চলবে? সংবিধান সংশোধন হয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে রায় এসেছে, আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দরকার নেই। উন্নত দেশে যেভাবে ছোট করে মন্ত্রিসভা করে নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন করানো হয়, আমাদের দেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে।’