গাজীপুরে হাতবোমা ফাটিয়ে ডাকাতির ঘটনায় ৯ জন গ্রেপ্তার

ডাকাতিতে জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কাশিমপুরের এনায়েতপুর এলাকায় রকেট এজেন্টের পাঁচ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত দলের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত ও মঙ্গলবার ভোররাতে কাশিমপুরের দুটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি ও হাতবোমা উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার গাজীপুর মহানগর পুলিশ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১৬ আগস্ট দুপুরে কাশিমপুরের এনায়েতপুরের স্থানীয় আলীর জুট কারখানার সামনে অবস্থান করছিলেন ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকিং সেবা ’রকেটের’ এজেন্ট শাহেদ শরীফ। এ সময় হঠাৎ করেই মোটরসাইকেল ও অটোরিকশায় ছয়–সাতজনের একটি ডাকাত দল এসে তার চারপাশ ঘিরে ফেলে। এ সময় হাতবোমা ফাটিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধে৵ আতঙ্ক তৈরি করা হয়। একপর্যায়ে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে শাহেদ শরীফের কাছ থেকে নগদ ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা লুটে নেন ডাকাতেরা। এ ঘটনায় ওই দিনই কাশিমপুর থানায় একটি মামলা করেন শাহেদ। এরপর গোপন সূত্রের ভিত্তিতে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডাকাত দলের সদস্যদের কাছ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়

গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতেরা হলেন নীলফামারী জেলার সদর থানার আনোয়ার হোসেন, মাদারীপুর জেলার মো. রুবেল, ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের বাবুল বেপারী, শরীয়তপুর জেলার জাকির হোসেন, একই এলাকার মো. সোলাইমান আকন, গোপালগঞ্জ জেলার সাগর বাড়ই ও তাঁর ভাই মৃদুল বাড়ই এবং কাশিমপুরের তেঁতুইবাড়ী এলাকার ইউসুফ আলী ও বিধান হালদার।

পুলিশ জানায়,  সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে কাশিমপুরের তেঁতুইবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউসুফ আলী (৩৫) ও বিধান হালদারকে (৩১) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে একই থানায় লস্করচালা এলাকায় অভিযান চালানো। এ সময় ওই এলাকার লোহাকৈর সড়ক–সংলগ্ন খান ব্রাদার্স খেলার মাঠে যেতেই পুলিশ সদস্যদের পর অতর্কিত হামলা চালান ডাকাত দলের সাত থেকে আটজন সদস্য। এ সময় পুলিশও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরবর্তী সময়ে সেখানে ধাওয়া দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা পেশাদার ডাকাত দলের সদস্য। তাঁদের লক্ষ্যই থাকে নগদ টাকা ডাকাতি। সে জন্য তাঁরা বিভিন্ন ব্যাংক, বীমাপ্রতিষ্ঠান বা মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর আশপাশে ঘোরাঘুরি করেন। পরবর্তী সময়ে সুযোগ বুঝে গ্রাহকের ওপর হামলা চালিয়ে সব লুট করে নেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও কেউ জড়িত থাকলে তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।