চাকরি দেওয়ার শর্তে রণজিত কুমার নিজের নামে জমি লিখে নিয়েছেন। চাকরি চলে গেছে, জমি ফেরত দেননি।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন এনে দেওয়ার কথা বলে দলীয় নেতার কাছে ৫ বিঘা জমি নিজের এক অনুসারীর নামে লিখে নিয়েছিলেন রণজিত কুমার রায়।
চার শতক জমির ওপর ছিল টিনশেডের আধা পাকা বাড়ি। আর ছিল পৈতৃক সূত্রে পাওয়া চার বিঘা জমি। এখন তাঁর সাতটি বহুতল বাড়ি, দুটি ফ্ল্যাট, দুটি প্লট এবং প্রায় ৫০ বিঘা জমি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ–বাণিজ্য ও টিআর-কাবিখা প্রকল্প থেকে তিনি নিয়েছেন কমিশন।
স্থানীয় বাসিন্দা, ভুক্তভোগী মানুষ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতা-কর্মীরা বলছেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১৫ বছরে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন যশোর-৪ (অভয়নগর ও বাঘারপাড়া ও সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) রণজিত কুমার রায় ও তাঁর পরিবার। এই আসনে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। সর্বশেষ চলতি বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন রণজিত।
রণজিত রায়ের পছন্দের বাইরে গত ১৫ বছরে তাঁর নির্বাচনী এলাকার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
প্রভাব খাটিয়ে, ভয়ভীতি দেখিয়ে কখনো নামমাত্র মূল্যে, আবার কখনো গায়ের জোরে রণজিত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে অনেক জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও তাঁর কাছে জমি হারিয়েছেন। তবে কেউ মামলা করার সাহস পাননি। বাঘারপাড়া উপজেলার ধান্যপুড়া মৌজায় চিত্রা নদীর তীরে অবস্থিত খাজুরা কেন্দ্রীয় শ্মশানে পাঁচ গ্রামের মৃত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সৎকার করা হয়। নিজস্ব জমি না থাকায় এলাকার মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলে শ্মশানসংলগ্ন ৭৭ শতক জমি কেনার সিদ্ধান্ত হয়। পাঁচ গ্রামের ৯০ জন মিলে সাড়ে ১২ লাখ টাকা চাঁদা দেন। খাজুরা বাজারের মন্দিরের তহবিল থেকে ৪ লাখ ৭ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু জমির দাম ৩১ লাখ টাকা। রণজিত কুমার রায় অবশিষ্ট ১৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা দিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ধান্যপুড়া মৌজায় ১৪৩ দাগের ৭ শতক এবং ১৩৭ দাগের ২৪ শতক মোট ৩১ শতক জমি মালিকের কাছ থেকে লিখে নেন। একই মৌজার ১৩৬ দাগের ৪৬ শতক জমি ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর তিনি মালিকের কাছ থেকে লিখে নেন।
সরেজমিন দেখা যায়, ধান্যপুড়া এলাকায় চিত্রা নদীর জায়গায় ইট দিয়ে স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। স্থাপনার মধ্যে কিছু কংক্রিটের পিলার তোলা হয়েছে। স্থাপনার নদীর প্রান্তে কংক্রিটের চিতা তৈরি করা হয়েছে। পাশে কেনা জমিতে কয়েক প্রকারের সবজি চাষ হচ্ছে।
ধান্যপুড়া গ্রামের জয়দেব ব্যানার্জ্জী বলেন, ‘শ্মশানের জন্য পাঁচ গ্রামের ৯০ লোকের চাঁদার টাকায় ৭৭ শতক জমি কেনা হয়েছে। বেশ কিছু টাকা কম পড়েছিল, সেটা এমপি রণজিত কুমার রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই জমি শ্মশানের নামে না করে নিজের নামে রেজিস্ট্রি নেন। এ নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। জমি লিজ থেকে বছরে ৩০ হাজার টাকা আয় হয়। আমি টাকা আদায় করি। কিন্তু রণজিতের পক্ষে শ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিন্টু রায় ওই টাকা নিয়ে নেন।’
শ্মশান কমিটির সভাপতি স্বপন সরকার বলেন, ‘দুটো দলিলে দুই দিন জমি রেজিস্ট্রি হয়। আমি জমি রেজিস্ট্রির সময় উপস্থিত ছিলাম না। পরে শুনেছি, শ্মশানের নামে জমি লিখে দিলে সরকারি হয়ে যাবে বলে ওই জমি তিনি নিজের নামে লিখে নিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে উনি দাতা হিসেবে জমি শ্মশানের নামে লিখে দেবেন। কিন্তু উনি এখন পর্যন্ত শ্মশানের নামে জমি লিখে দেননি।’
বাঘারপাড়া উপজেলার চাপাতলা গ্রামের স্কুলশিক্ষক সুশীল কুমার মল্লিকের সাড়ে ১০ বিঘা জমি লিখে নিয়েছেন রণজিত। কিন্তু সুশীল কুমার মল্লিককে ঠিকমতো জমির টাকা দেওয়া হয়নি। এই ঘটনার পর সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন সুশীল। ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। তাঁর স্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। এক বছর আগে তিনি দেশ ত্যাগ করেন।
বাঘারপাড়ার মথুরাপুর গ্রামের মো. আবদুল্লাহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১৭ সালে তিন শতক জমি দেন। আবদুল্লাহকে চাকরি দেওয়ার শর্তে রণজিত কুমার রায় নিজের নামে ওই জমি লিখে নেন। প্রকল্প না হলে জমি ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। প্রকল্প চালু হয় এবং আবদুল্লাহকে চাকরিও দেওয়া হয়। কিন্তু মাত্র ১০ মাস পর ব্যবহার অনুপযোগী পানি এবং সঞ্চালন লাইন কেটে যাওয়ায় প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন আবদুল্লাহর চাকরি নেই, জমিও ফেরত পাননি।
আবদুল্লাহ বলেন, ‘চাকরির আশ্বাস পেয়ে প্রকল্পের জন্য বসতভিটা থেকে জমি দিয়েছিলাম। কিন্তু এমপি সাহেব নিজের নামে জমি লিখে নিয়েছেন। ১০ মাস চাকরি করে পাঁচ মাসের ৫০ হাজার টাকা বেতন পেয়েছি। প্রকল্পের ঠিকাদার ওই টাকা বেতন হিসেবে আমাকে দিয়েছেন। প্রকল্প বন্ধ, চাকরি নেই। এত দিন ভয়ে বলতে পারিনি। এখন আমি আমার জমি ফেরত চাই।’
বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক হাসান আলীকে (বর্তমান সাধারণ সম্পাদক) পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন এনে দেওয়ার কথা বলে ৫ বিঘা জমি নিজের এক অনুসারীর নামে লিখে নেন রণজিত কুমার রায়। নির্বাচনে পরাজিত হন হাসান আলী। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ করেন তিনি। সেই জমি হাসান আলীকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন রণজিত। হাসান আলী বলেন, ‘দল ক্ষমতায় থাকতে রণজিত রায়ের অপকর্ম নিয়ে অনেক কথা বলেছি। এখন আর এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
রণজিত রায়ের পছন্দের বাইরে গত ১৫ বছরে বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলা এবং বসুন্দিয়া ইউনিয়নের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তিনি ও তাঁর স্ত্রী নিয়তি রানী রায়, দুই ছেলে রাজীব রায় ও সজীব রায় অন্তত ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাঘারপাড়া উপজেলার কড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদে রণজিৎ কুমার রায় একবার এবং তাঁর স্ত্রী নিয়তি রানী রায় দুবার সভাপতি ছিলেন। ওই সময় প্রধান শিক্ষক পদে দুজন (একজন অবসরে গেলে আরেকজন), সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে একজন, শিক্ষক পাঁচজন এবং কর্মচারী পদে ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই সময়ে পরিচালনা পর্ষদে থাকা একজন সদস্য বলেন, প্রথমে আটজন ও পরে ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের কাছ থেকে রণজিৎ কুমার রায় ও তাঁর স্ত্রী নিয়তি রানী রায় দেড় কোটির বেশি টাকা নিয়েছিলেন।
অভয়নগর-বাঘারপাড়া উপজেলা এবং সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়নে গত ১৫ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর), কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির যত প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তা থেকে রণজিৎ কুমারকে কমিশন দিতে হয়েছে। অনেক প্রকল্প কাগজে-কলমে বাস্তবায়ন দেখিয়ে পুরো টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘টিআর-কাবিখা-কাবিটার অনেক প্রকল্পের খবর কেউ জানে না। যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, তাতে এমপি রণজিত কুমার রায়কে ৫০ শতাংশ হারে কমিশন দিতে হয়েছে। তাঁর অপকর্মের দায়ভার এখন আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও সাধারণ নেতা-কর্মীদের ওপর বর্তাচ্ছে।
গত চারটি সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণী থেকে জানা যায়, ১৫ বছরে রণজিত কুমার রায়ের ব্যক্তিগত সম্পদ বেড়েছে ১৩৩ গুণ। তবে নির্বাচনী হলফনামায় দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে যে তথ্য আছে, রণজিৎ কুমার ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রকৃত সম্পদ আরও বেশি।
২০০৮ সালে নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় ব্যবসা ও কৃষি থেকে বছরে ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা আয় দেখিয়েছিলেন রণজিত কুমার রায়। তখন সব মিলিয়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ১০ হাজার টাকার। এর মধ্যে এক লাখ টাকার চার বিঘা পৈতৃক জমি এবং ৫০ হাজার টাকা দামের খাজুরা বাজারে আধা পাকা টিনের বাড়ি। স্ত্রীর সম্পদ ছিল ৮৫ হাজার টাকার। তাঁদের কোনো গাড়ি ছিল না। নিজ নামে কোনো বাড়িও ছিল না।
সবশেষ ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা অনুসারে তিনি বছরে প্রায় ৪২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৩ টাকা আয় করেন। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ কোটি ৪৮ লাখ ৫১ হাজার টাকার। এর মধ্যে এক লাখ টাকা মূল্যের ১২ বিঘা কৃষিজমি, ঢাকার পূর্বাচলে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের রাজউকের প্লট, ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের বাড়ি, ২৩ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি এবং ১০ লাখ টাকার অকৃষিজমি। অর্থাৎ দেড় দশকে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ১৩৩ গুণ।
একই সময় স্ত্রীর সম্পদ ৩৭৫ গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ কোটি ১৮ লাখ ৭৫ হাজার ২৯৮ টাকা। এর মধ্যে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকার তিনটি বাড়ি ও ৫০ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট এবং ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্রাইভেট কার রয়েছে। আগে তাঁর স্ত্রীর কোনো আয় ছিল না। এখনো তাঁর কোনো আয় নেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, যশোর শহরের রেল রোডে রণজিত ও তাঁর স্ত্রী নিয়তি রানী রায়ের দুটি বাড়ি আছে। একটি বাড়ি পাঁচতলা। এ বাড়িতে বাস করতেন রণজিত কুমার। এই ভবন থেকে ৫০০ গজ দূরে তিনতলা বাড়িটির মালিক তাঁর স্ত্রী নিয়তি রানী রায়। এটি ভাড়া দেওয়া আছে। শহরের লোহাপট্টিতে দোতলা ভবনের বাড়িটির মালিকও রণজিত কুমার। এ বাড়ির নিচে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দেওয়া। ওপরে আবাসিক ভাড়া দেওয়া। যশোর শহরের নিউমার্কেট এলাকায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্পে ১ হাজার ২২৮ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাটের মালিক রণজিত কুমার রায়। বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের পাশে দোতলা ও খাজুরা বাজারে চিত্রা নদীর পাড়ে পাঁচতলা বাড়ি রয়েছে।
খাজুরা বাজারের বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরে চিত্রা নদীর পাড়ে ২৬ শতক জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করছেন রণজিত। সেখানে ৩৪টি দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, ৫ আগস্টের পর নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। উপজেলার বাসুয়াড়ী গ্রামে তিন কক্ষের একটি টিনের আধা পাকা বাড়ি রয়েছে। এখানে তাঁর ১ একর ৩৮ দশমিক ৫ শতক জমি রয়েছে। পুকুরিয়া এলাকার বিল জলেশ্বরে দুই ছেলের নামে প্রায় চার একর ধানি জমি ও মাছের ঘের, হাবুল্যা এলাকার শালিয়াট মাঠে এক একর ধানি জমি রয়েছে। সদর উপজেলার ঘোপ এলাকায় দুই ছেলের নামে ২ একর ১২ শতক জমিতে লিচুবাগান রয়েছে। অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া স্টেশনবাজার এলাকায় তাঁর প্রায় সাড়ে চার শতক জমির ওপর চারতলা একটি বাড়ি রয়েছে। বাড়ির নিচতলায় রণজিত কুমার রায়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিয়তি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের কার্যালয়। ঢাকার পূর্বাচলে তাঁর নামে রাজউকের প্লট রয়েছে।
অভয়নগর উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার গুয়াখোলা মৌজায় ১৫১৫ নম্বর দাগে ৪ শতক, ১৫১৬ দাগে ১ দশমিক ৭৫ শতক, বুইকরা মৌজায় ১৬১৬ দাগে ১ দশমিক ৭৪ শতক, নওয়াপাড়া মৌজায় ২৫৫০ দাগে ৭ দশমিক ৮০৫ শতক এবং ২৫৩৯ দাগে ৪ দশমিক ২৯ শতক জমি রয়েছে রণজিত কুমার রায়ের। ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তিনি এসব জমি কিনেছেন। পাঁচটি দলিলে ক্রয়মূল্য বাবদ ১ কোটি ১৮ লাখ ১ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এর মধ্যে একটি বাড়িসহ তিনটি জমি কেনা রয়েছে ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকায়।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রণজিত কুমার রায় আত্মগোপনে আছেন। গা ঢাকা দিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের কাউকে পাওয়া যায়নি।