রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের দুটি স্থান উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে। ফলে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে আট শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের কাচালং ও গঙ্গারাম নদীর পানি বেড়ে যায়। এতে পাহাড়ি ঢলে গতকাল সোমবার রাতে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের বাঘাইহাট বাজার এলাকা ও মাচালং বাজার এলাকার সড়ক তলিয়ে গেছে। আশপাশের এলাকার লোকজন নৌকায় করে কোনো রকমে যাতায়াত করলেও সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ আছে।
সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে আসা আট শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাজেক থেকে তাঁদের খাগড়াছড়ি ফিরে আসার কথা ছিল। পানি সরে না যাওয়া পর্যন্ত আটকাপড়া পর্যটকদের সাজেকে অবস্থান করতে হবে।
এদিকে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে পাহাড়ি ধস ও তলিয়ে যাওয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও ভারী যানচলাচল বন্ধ আছে। শুধু স্থানীয়ভাবে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চলাচল করছে। ভারী বৃষ্টিতে গতকাল রাতে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের বোধিপুর এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। আজ ভোরে কিছু অটোরিকশা রাঙামাটি থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে এটা দেখতে পায়। পরে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে খবর দিলে তারা সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়া মাটি সরিয়ে ফেলা হয়। এর পর থেকে অটোরিকশা চলাচল করলেও বাস ও ভারী যানবাহন চলাচল করছে না।
এ ছাড়া রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কেঙ্গেলছড়ি এলাকায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ আছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ি পৌর এলাকার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টি না কমলে আগামী কয়েক দিন আটকে পড়া পর্যটকদের এখানে থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে পর্যটকদের কাছ থেকে কক্ষ ভাড়া নেওয়া হবে না। তবে অনেক দূর থেকে পানি আনতে হয়। সে জন্য শুধু পানির বিল নেওয়া হবে।