পটুয়াখালীতে রোববার জেলা বিএনপির দুই পক্ষের নেতারা পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন। একপক্ষের নেতা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. কামাল হোসেন পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। অপর পক্ষের নেতা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী তাঁর শেরেবাংলা সড়ক এলাকার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলেন, অনেক দিন ধরেই জেলা বিএনপিতে দুটি পক্ষ আছে। এবার তা প্রকাশ্যে চলে এল। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর এই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল।
বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবের ড. আতহার উদ্দিন মিলনায়তনে লিখিত বক্তব্যে পৌর বিএনপির সভাপতি মো. কামাল হোসেন বলেন, গত ৩০ আগস্ট আলতাফ হোসেন চৌধুরী জেলা কমিটিকে না জানিয়ে বিএনপির নামে জনসমাবেশ করেন। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ওয়াহিদ সরোয়ারকে পাশে নিয়ে একই মঞ্চে সমাবেশ করেছেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে একাধিক সময়ে কাজ করেছেন আলতাফ। তিনি ও তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীদের ছত্রচ্ছায়ায় বিএনপির ভেতরে অনেকে অনুপ্রবেশ করে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ বিভিন্ন অপকর্ম করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম, সদস্য আশফাকুর রহমান, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি এ কে এম শফিকুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাহিদুর রহমান, জেলা চাষী দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব জাকারিয়া আহমেদ প্রমুখ।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলতাফ হোসেন চৌধুরী তাঁর বাসভবনে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে আলতাফ হোসেন চৌধুরী নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা এখনো দেশ থেকে যায়নি। তারা নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এসব প্রতাত্মার চেয়েও ভয়ংকর হচ্ছে বিএনপির মধ্যে মোনাফেক ও বর্ণচোরেরা। তাদের প্রতিহত করতে বিএনপির সব নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানান তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাকসুদ আহমেদ বায়েজীদ, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সদস্য লায়লা ইয়াসমিন, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মো. মহসিন, ওয়াহিদ সরোয়ার প্রমুখ।