চাঁদের গাড়িটি ভেঙে নিলামে বিক্রি ও টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ

২০ জানুয়ারি বান্দরবানে পাহাড়ি খাদে পড়ে যাওয়া চাঁদের গাড়ি
 ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানে রুমার কেওক্রাডাং পাহাড়ে দুর্ঘটনার পড়া ফিটনেসবিহীন চাঁদের গাড়িটি (পুরোনো জিপ) ভেঙে বিক্রি থেকে পাওয়া টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

একই আদালত দুর্ঘটনার গ্রেপ্তার গাড়িচালক মোহাম্মদ মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।

পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি চলাচল নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরির (জিডি) পরিপ্রেক্ষিতে জেলায় পর্যটক বহনের জন্য কতটি জিপ বা চাঁদের গাড়ি রয়েছে, হালনাগাদ কাগজপত্রসহ তালিকা দেওয়ার জন্যও পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন একই আদালত।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিনহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল সোমবার রাতে জেলা শহর থেকে পুলিশ মোহাম্মদ মিন্টুকে গ্রেপ্তার করে।

দুর্ঘটনার পর জব্দ করা গাড়িটি জিম্মায় নেওয়া গাড়িটির মালিক চিনী বড়ুয়া। আজ আদালতে তাঁর সঙ্গে বান্দরবান জিপ-কার মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সবাই গাড়িটি মামলার প্রয়োজনে যেকোনো মুহূর্তে হাজির করার অঙ্গীকার করেন।

আদালত আবেদনের শুনানিতে জানতে চান, গাড়ির ফিটনেস সনদসহ হালনাগাদ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে কি না। মালিক নিলামে ক্রয় করা কাগজপত্র ছাড়া কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর আদালত আবেদনটি নামঞ্জুর করে গাড়িটি ভেঙে (স্ক্র্যাপ) নিলামে বিক্রি ও এ বাবদ পাওয়া টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

জিআরও বিশ্বজিৎ সিনহা বলেন, গাড়িটি দ্রুত ভেঙে নিলামে বিক্রি করে পাওয়া টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। আর আদালতের নির্দেশের পর গাড়ির চালক মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে গেছেন।

গত ২০ জানুয়ারি রুমা-বগালেক-কেওক্রাডাং সড়কের পাহাড়চূড়ায় কাছাকাছি চাঁদের গাড়িটি ৩০০ ফুট পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। গাড়িতে ভ্রমণকন্যার পর্যটক ১৩ জন নারী ও শিশু ছিল। ঘটনাস্থলে দুজন ও পরে হাসপাতালে আরেকজনের মৃত্যু হয়। আহত হন ১১ জন। ঘটনার পরদিন পুলিশ গাড়িচালক মিন্টু ও গাড়ির মালিক দিলীপ বড়ুয়ার নাম উল্লেখ করে মামলা করে। পরে অবশ্য দিলীপ বড়ুয়া দাবি করেন, তিনি নন, গাড়িটির প্রকৃত মালিক চিনী বড়ুয়া।