রাত থেকে গাজীপুরের তিন সড়কে বন্ধ থাকবে যান চলাচল

ইজতেমার শেষ দিনে মুসুল্লিদের ভিড়
ফাইল ছবি

প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে আজ শনিবার রাত ১০টা থেকে গাজীপুরের তিন সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশ। মোনাজাত শেষে আগামীকাল রোববার বেলা দুইটার পর সড়কগুলো আবার খুলে দেওয়া হবে।

সড়ক তিনটি হলো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের মিরের বাজার থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত এবং রাজধানী ঢাকার কামারপাড়া মোড় থেকে টঙ্গীর মন্নুগেট সড়ক।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব সড়কে ইজতেমার মুসল্লি বহনকারী যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি চলতে পারবে না। তবে জরুরি প্রয়োজনের গাড়ি যেমন অ্যাম্বুলেন্স, গণমাধ্যমকর্মী বা বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলাদাভাবে। প্রথম পর্বের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা। আগামীকাল আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ পর্বের ইজতেমা। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। এ পর্বের নেতৃত্ব দেবেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা।

গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আগামীকাল সকালে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আজ শনিবার দুপুর থেকেই লোকজন জড়ো হচ্ছেন। আগামীকাল ভোর থেকে লোকজন আরও বেড়ে যাবে। ফলে হাঁটাচলার উপায় থাকবে না। তাই সব দিক বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল মোনাজাত শেষ হওয়া বা মুসল্লিদের ভিড় না কমা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। যেসব যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করবে, সেসব গাড়ি বিভিন্ন পথে ঘুরিয়ে ঢাকায় পাঠানো হবে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার ইজতেমার জুমার নামাজকে ঘিরে মুসল্লিদের ভিড় বাড়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর থেকে টঙ্গীর কলেজ গেট, কামারপাড়া-টঙ্গী স্টেশন রোড এবং টঙ্গী ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে মিরের বাজার পর্যন্ত এলাকায় যানজট দেখা দেয়।

আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘যেহেতু মোনাজাতের দিন হাজার হাজার মানুষ সড়কে বসে পড়েন, তাই এমনিতেই যানবাহন চলাচলের উপায় থাকে না। আমরা ১০টা থেকে এই তিন সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি অধিকতর সতর্কতার জন্য।’