যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক বাসচালককে মারধর করা হয়েছে। পেছন দিক থেকে অতিক্রম করার সময় অন্য একটি লোকাল বাসের ধাক্কায় বাসের লুকিং গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে কেন্দ্র করে অপর বাসের চালক, সহায়তাকারী ও মহাসড়কের টোল আদায়কারী শ্রমিকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসচালকে মারধর করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বাসে থাকা যবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা সঙ্গে সঙ্গে রাজারহাট-চুকনগর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। রোববার সকাল নয়টার দিকে মনিরামপুর উপজেলার আটমাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রতিদিন সকালে ভাড়া করা একটি বাস মনিরামপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। রোববার সকালেও বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। সকাল নয়টার দিকে বাসটি উপজেলার আটমাইল এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি লোকাল বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসটি অতিক্রম করছিল। এ সময় ধাক্কা লেগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের লুকিং গ্লাস কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ নিয়ে প্রথমে দুই বাসচালকের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সড়কের টোল আদায়কারী কয়েক ব্যক্তি লোকাল বাসের চালক ও সহায়তাকারীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসচালককে মারধর করেন। এ সময় বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা নেমে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে মনিরামপুর থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সকাল ১০টার দিকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. হাফিজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বাসচালককে মারধরের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান। একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন।
এ ঘটনার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লোকাল বাসের চালক হাফিজুর রহমান এবং তাঁর সহায়তাকারী সাইদুল ইসলামকে থানায় নিয়ে যায়।
প্রক্টর মো. হাফিজ উদ্দিন বলেন, ওভারটেক করার সময় একটি লোকাল বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের লুকিং গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে কেন্দ্র করে কয়েকজন মিলে বাসচালককে মারধর করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। পরে প্রক্টর এসে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে নিয়ে যান। ঘটনা জানার জন্য লোকাল বাসের চালক ও সহায়তাকারীকে থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে আইনগগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’