শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল চত্বরের সামনে ওই সংঘর্ষে নিহত মিজানুর রহমানের স্বজনদের আহাজারি। আজ সকালে তোলা
শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল চত্বরের সামনে ওই সংঘর্ষে নিহত মিজানুর রহমানের স্বজনদের আহাজারি। আজ সকালে তোলা

শেরপুরে কিশোরদের বিরোধে দুই গ্রামের বড়রা জড়ালেন সংঘর্ষে, নিহত ২

শেরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পাঁচটি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শেরপুর পৌরসভার গৌরীপুর ও নওহাটা খোয়ারপাড় এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন গৌরীপুর এলাকার মিজানুর রহমান (৩৫) ও শ্রাবণ (২৫)। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্রাবণের মৃত্যু হয়।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বিপুল (৫০) ও নিলয় (১৬) নামের দুই ব্যক্তিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে শেরপুর পৌরসভার খোয়ারপাড় শাপলা চত্বরে গৌরীপুর ও নওহাটা খোয়ারপাড় এলাকার দুই দল কিশোরের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে ওই দিন রাতেই সংঘর্ষে জড়ান ওই দুই গ্রামের বাসিন্দারা। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে উভয় এলাকার বাসিন্দারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আবার সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় উভয় পক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষের মিজানুর রহমান, শ্রাবণসহ উভয় পক্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হন।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যেরা। তাঁরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মিজানুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অন্যদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শ্রাবণকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।

বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও থমথমে অবস্থা দেখা গেছে। তবে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের টহল কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। নিহত ব্যক্তিদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।