মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লাল চাঁনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাবের একটি দল
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লাল চাঁনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাবের একটি দল

মানিকগঞ্জে ৭ বছর ধরে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি লাল চাঁন ওরফে রবিনকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল রোববার রাতে ঢাকার সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার সকালে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য জানায় র‍্যাব-৪-এর সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।

গ্রেপ্তার লাল চাঁন সিঙ্গাইর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের বাসিন্দা। হত্যাকাণ্ডের পর পরিচয় গোপন করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন বলে র‍্যাব জানায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানিয়েছে, ২০০০ সালের ২০ জুন সিঙ্গাইর উপজেলার দক্ষিণ শাহরাইল গ্রামের সালমা আক্তারকে বিয়ে করেন লাল চাঁন। বিয়ের পর নেশা ও জুয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে প্রায়ই মারধর করতেন লাল চাঁন। এরপর ২০০৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি স্ত্রীকে মারধর করেন তিনি। এতে সালমা মারা যান। পরদিন সকালে খবর পেয়ে পুলিশ লাল চাঁনের বাড়ি থেকে সালমার লাশ উদ্ধার করে। একই দিন নিহত সালমার মা বাদী হয়ে লাল চাঁনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে জামিনে তিনি কারাগার থেকে বের হয়ে পলাতক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি লাল চাঁনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। সব সাক্ষ্যপ্রমাণ ও তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরপর ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ আদালতের বিচারক আসামির অনুপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড দেন।

র‍্যাব-৪-এর সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় লাল চাঁন নাম পরিবর্তন করে রবিন বলে পরিচয় দিতেন। এ ছাড়া তিনি ক্রমাগত পেশা পরিবর্তন করে আসছিলেন। গতকাল রাত নয়টার দিকে আশুলিয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে তাঁকে সিঙ্গাইর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল হক বলেন, আদালতের রায়ের নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।