ফরিদপুরে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। রোববার সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতজন, আলফাডাঙ্গার চারজন ও মধুখালীর একজন আছেন। এর মধ্যে বিএনপির মূল দলের নেতাদের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনের নেতারাও আছেন।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক এস এম বাদশা মিয়া, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক গোলাম কুদ্দুছ মোল্লা, বৈদেশিক বিষয়ক সম্পাদক ইমরান সালেহ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান হাছান, উপজেলা বিএনপির সদস্য আতিয়ার রহমান ও স্বপন ব্রহ্ম; আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম, আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম শেখ ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ মুসা। এ ছাড়া মধুখালী পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিন উপজেলার বিএনপির অন্তত তিনজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই ১২ নেতা বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান জলাঞ্জলি দিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত শাহ মো. আবু জাফরের পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। এ জন্য তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সদ্য বহিষ্কৃত এস এম বাদশা মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি শাহ জাফরের দল করি। আমার আর কোনো পরিচয় নেই। দল আমি বুঝি না। শাহ জাফরকে বুঝি। আমাকে রাজনীতিতে এনেছেন শাহ জাফর, আমাকে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক বানিয়েছেন শাহ জাফর। যত দিন শাহ জাফর বেঁচে আছেন, আমি তত দিন তাঁর দলই করব। আমার সামনে শাহ জাফর ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।’
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা-মধুখালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মো. আবু জাফর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০ নভেম্বর তিনি বিএনপি ছেড়ে ‘কিংস পার্টি’ খ্যাত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। এ জন্য বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব ধরনের পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী প্রথম আলোকে বলেন, দলের গঠনতন্ত্র হিসেবে জেলা কমিটি উপজেলা কমিটির কোনো পদধারী সদস্যকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা রাখেন না। তবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে তিনি সাংগঠনিক পদক্ষেপ নিয়েছেন।