মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন ৬৭ বছর বয়সী ইউনুস ব্যাপারী। ২৮ দিন ধরে অটোরিকশাসহ তিনি নিখোঁজ। প্রতিদিনের মতো গত ২১ এপ্রিল অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত তাঁর কোনো হদিস মেলেনি।
নিখোঁজ ইউনুস ব্যাপারী মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে ওমর ফারুক ও ইউনুস ব্যাপারী দুজন মিলে অটোরিকশাটি চালাতেন। ইউনুস ব্যাপারী নিখোঁজের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ২২ এপ্রিল লৌহজংয়ের পদ্মা উত্তর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
জিডি ও স্বজনসূত্রে জানা যায়, নিখোঁজের দিন লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া এলাকা থেকে হাসিনার রাস্তার মোড়ের দিকে যাত্রী নিয়ে যান ইউনুস ব্যাপারী। এর পর থেকে অটোরিকশাসহ তাঁর আর কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও ইউনুস ব্যাপারীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ ইউনুস ব্যাপারীর বড় ছেলে মো. ওমর ফারুক বলেন, তাঁদের বড় সংসার। তাই বাবাকে বৃদ্ধ বয়সেও অটোরিকশা চালাতে হতো। সংসারের জন্য অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে বাবা নিখোঁজ হন। কতগুলো দিন ধরে বাবাকে খুঁজে যাচ্ছেন, কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁদের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন অটোরিকশাটি পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিন থানায় গিয়ে বাবাকে খোঁজার তাগিদ দিচ্ছেন। কিন্তু থানা-পুলিশ আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
ইউনুস ব্যাপারীর ভাতিজা রিপন ব্যাপারী বলেন, চাচা নিখোঁজের পর পুরো পরিবারটি ভেঙে পড়েছে। তাঁরা আর্থিকভাবে নানা সমস্যায় জর্জরিত। অটোরিকশার জন্য চাচাকে কেউ মেরে ফেলে থাকলে এত দিনে হয়তো লাশও পচে গেছে। চাচার পরিবার জীবিত কিংবা মৃত যেকোনো অবস্থায় তাঁর সন্ধান চেয়েছে।
আজ পদ্মা উত্তর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে দেখেছেন, ২১ এপ্রিল সব শেষ শ্রীনগরের তিন দোকান এলাকায় নিখোঁজ ইউনুস ব্যাপারীর মুঠোফোন সচল ছিল। প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁর অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করছেন। সেই সঙ্গে আশপাশের থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। সব দিক থেকেই নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান করা হচ্ছে।